দুই পাশের বেশিরভাগ স্থানে মাটি সরে যাওয়ায় রাস্তা অনেকটাই সংকীর্ণ হয় পড়েছে। অনেক স্থানে দেবে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্তের; ফলে একটু বৃষ্টি হলেই পানি উঠে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল।
সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় তা দ্রুত মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে তোলার জন্য দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ বলছে, অর্থ সংকটের কারণে তা সম্ভব হচ্ছে না ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভারী যান চলাচলের কারণে সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিচ ও খোয়া উঠে গিয়েছে। এছাড়া সড়কে বড় পাঁচটি কালর্ভাট অকেজো হওয়ায় এখন সকলের চলাচলের জন্য একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
জয়পুরহাট ছাড়াও পাশের গাইবান্ধা, রংপুর ও বগুড়া জেলার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য অন্য সড়কের চেয়ে জয়পুরহাট-গবিন্দগঞ্জ সংযোগ সড়কে দূরত্ব ও খরচ কম হওয়ায় যাত্রীদের চাপ বেশি থাকে।
সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার বাস, মিনিবাস, পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স, অটোরিকশা, ভ্যানসহ শত শত যানবাহন এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে।
কালাই উপজেলার মাত্রাই বিজ্ঞান ও কারিগড়ি কলেজের শিক্ষক নজরুল ইসলাম, মাত্রাই ইউপি চেয়ারম্যান আ ন ম শওকত হাবিব তালুকদার বলেন, রাস্তা খারাপ হওয়ার কারণে ছেলে-মেয়েরা অনেক সময় ঠিক সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে পারে না।
এ ছাড়া কৃষকরা তাদের উৎপাদিত শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ধরনের ফসল সঠিক সময়ে বাজারে নিয়ে পারেন না বলে সঠিক দামও পায় বলে জানান তারা।
স্থানীয় বিয়ালা বাজারের মুদি ব্যবসায়ী নুরুল আমিন বলেন, প্রাতি সপ্তাহে তাকে বগুড়া থেকে দোকানের মালামাল নিয়ে আসতে হয়। কিন্তু চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় মিনি ট্রাক এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে চায় না। ফলে বিকল্প পথে বেশি ভাড়া দিয়ে তিনি দোকানে মালামাল পরিবহন করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর সিদ্দিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অর্থ সংকটের কারণে ওই সংযোগ সড়কের মেরামতের কাজ করা যাচ্ছে না। বরাদ্দ পেলেই কাজ শুরু হবে।”