কয়েকদিন আগে মেয়ে শাবকটির জন্ম হলেও গত মঙ্গলবার এটিকে প্রকাশ্য হতে দেখা গেছে।
এ নিয়ে পার্কে তিনটি মেয়ে ক্যাঙ্গারু হলো। কোনো পুরুষ ক্যাঙ্গারু নেই। গত অক্টোবরে এই শাবকের বাবা একমাত্র পুরুষটির মৃত্যু হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৩ সালের অগাস্টে আফ্রিকা থেকে একটি পুরুষ ও দুইটি স্ত্রী ক্যাঙ্গারু কিনে এনে এই সাফারি পার্কে ছেড়ে দেওয়া হয়।
২০১৫ সালে প্রথম শাবক জন্ম নেয় এবং পরে সেটি মারা যায়। ২০১৬ সালে জন্মের কয়েক মাস পর দ্বিতীয় শাবকটিও মারা যায়।
এরপর ২০১৭ সালের অক্টোবরে পার্কের একমাত্র পুরুষ ক্যাঙ্গারুটি মারা গেছে।
সাফারী পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, পার্কে কোনো প্রাণী শাবক প্রসব করলে তাৎক্ষণিকভাবে সাধারণদের জানানো হয় না। জন্ম নেওয়া শাবকগুলোর একটি নির্দিষ্ট বয়স হওয়ার পর তা প্রকাশ্য করা হয়। বিভিন্ন রোগ-বালাই, সংক্রামক ব্যাধি, আবহাওয়া ও পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার পরই বিষয়টি সর্বসাধারণকে জানানো হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোতালেব হোসেন বলেন, “ক্যাঙ্গারু বিদেশি পরিবেশের প্রাণী। আমরা এখানে প্রাণীগুলোকে বিশেষ পরিবেশে বড় করেছি। সে তার প্রাকৃতিক পরিবেশের মতোই এই পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিয়েছে বলেই গত বছর এবং এ বছর বাচ্চা প্রসব করেছে।”
কিছুদিন পর বাচ্চাটিকে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
পার্কের ওয়াইল্ডলাইফ সুপারভাইজার সরোয়ার হোসেন খান জানান, ক্যাঙ্গারু শাবকটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে পর্যন্ত মায়ের থলিতে থাকে এবং দুধ পান করে। তখন শাবকের চোখ ফোটে না। শরীরে লোমও থাকে না। বাচ্চা বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে থলেও বড় হতে থাকে।
“৩/৪ মাস বয়স হলে থলেতে থাকা অবস্থায় কখনও মাথা কিংবা কখনও পা বের করলে শাবকটি দেখা যায়। কিন্তু এ সময় এটি মাটিতে নামে না।
“ছয় মাস বয়স হওয়ার পর বাচ্চাটি মাটিতে নামে এবং আবার থলেতে অবস্থান নিয়ে জীবনযাপন করে। প্রায় আট মাস বয়সে ক্যাঙ্গারু শাবক অনেকটাই স্বাধীনভাবে খাবার খেতে ও চলাচল করতে শেখে এবং তখন আর থলিতে ঢোকে না।”
তিনি জানান, এক বছর পর্যন্ত বাচ্চা মাঝে-মধ্যে মাতৃদুগ্ধ পান করে এবং মায়ের আশপাশে অবস্থান করে। পুরুষ ক্যাঙ্গারু সাধরণত ২০/২৪ মাসে এবং মেয়ে ক্যাঙ্গারু সাধারণত ২০/২২ মাসে বয়ঃপ্রাপ্ত হয়। তবে পরিবেশ-পরিস্থতির কারণে এই সময়ের কিছুটা তারতম্য হতে পারে।