এরা হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের বনি আমিন ইসরাঈল (২৩) ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের মারুফ হোসেন (২৪)।
এক সপ্তাহ থেকে নিখোঁজ এ দুজনকে পুলিশ আটক করেছিল বলে সিআইডি জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার সিআইডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম জানান, গত ৭ থেকে ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে রাজশাহী মেডিকেল এলাকা থেকে বনি আমিন ইসরাঈল এবং বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর থেকে মারুফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মোল্লা নজরুল বলেন, “বনি ইসরাঈল ও মারুফ হাসানের কাজ ছিল ভর্তিচ্ছু ছাত্র সংগ্রহ এবং তাদের তথ্য চক্রের নেতা রকিবুল হাসান ইসামীকে সরবরাহ করা।”
গত ১১ ডিসেম্বর পাবনা জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা রকিবুল হাসান ইসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইসামী এই চক্রের শীর্ষে ছিলেন বলে মোল্লা নজরুলের ভাষ্য।
বনি আমিন ইসরাঈল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বক্স হলের ২৩৫ নম্বর কক্ষে থাকেন বলে জানান তার সহপাঠী মাসুদ রানা।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত শুক্রবার থেকে বনি নিখোঁজ রয়েছেন। এখন পর্যন্ত তার কোনো খোঁজ পাইনি।”
মারুফের হলের নাম জানা যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লুৎফর রহমান বলেন, “আমি তখন রাজশাহীতে ছিলাম না। সহকারী প্রক্টর আমাকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। শুনেছি ঢাকায় ওই দুজন ঢাবির প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত এবং তাদের নামে মামলা হয়েছে।”
মতিহার থানার ওসি মেহেদী হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সিআইডি একটি অভিযান চালিয়েছে বলে শুনেছি। তবে কাউকে আটক করেছে কিনা ত জানি না।”
রাজশাহীর সিআইডি পরিদর্শক আসমাউল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় জড়িতদের ধরতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। তবে কাদের আটক করা হয়েছে আমি জানি না। আর তখন আমি রাজশাহীতে ছিলাম না।”