বুধবার জয়পুরহাট মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সোলায়মান আলী একটি মানহানির মামলা এবং হবিগঞ্জ মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল আজাদ রাসেল রাষ্ট্রদ্রোহের মামলটি করেন।
মানহানির মামলার বাদী জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগ নেতার আইনজীবী সুশান্ত কুমার মহন্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে এ বিষয়ে সদর থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা বলা হয়েছে, গত ১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল (বিডিসি) আয়োজিত ‘গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যমর ভূমিকা’শীর্ষক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের সরকার, বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মিথ্যা ও অশালীন বক্তব্য রাখেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মাহমুদুর রহমান মিথ্যা প্রচারনা দিয়ে সরকার ও রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা নিয়েছেন। দেশকে বিপদগ্রস্ত করে রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার চেষ্টা করেছেন। এতে বাদী সংক্ষুব্ধ হয়ে পাঁচশ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন।
হবিগঞ্জ দায়ের হওয়া মামলার আইনজীবী মোস্তফা কামাল আজাদ বলেন, “গত ১ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনের ওই সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে বাদী মনে করে তা রাষ্ট্রদ্রোহ এবং এতে প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের মানহানি হয়েছে।
“এজন্য তিনি মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও পাঁচশ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেছেন।”
তিনি আরও বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে হবিগঞ্জ সদর থানার ওসিকে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ১ ডিসেম্বরের ওই ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহ ও মানহানির অভিযোগে বিভিন্ন জেলার গত কয়েকদিনে বেশ কটি মামলা হয়েছে।