কোচিংয়ের প্রশ্নপত্রে স্কুলের পরীক্ষা: শিক্ষককে বরখাস্তের সুপারিশ

কোচিংয়ের প্রশ্নপত্রে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনা তদন্ত কমিটি বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককে চাকরিচ্যুতির সুপারিশ কর হয়েছে।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2017, 01:55 PM
Updated : 13 Dec 2017, 01:55 PM

বুধবার তদন্ত কমিটির প্রধান শেখ আমজাদ হোসেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মতিন হাওলাদারের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেন।

নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির একটি বিষয়ের পরীক্ষঅ নেওয়া হয় স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টারে আগে নেওয়া মডেল টেস্টের প্রশ্নপত্রে।

অভিযোগ ওঠার পর মঙ্গলবার পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তাদের দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম মঙ্গলবার সংবাদ প্রকাশ করেছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান শেখ আমজাদ হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন আইসিটি বিষয়ের শিক্ষক শেখ মো. বেল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করা হয়।

তিনি জানান, তদন্তের সময় কমিটির সদস্যরা প্রথমে একাধিক অবিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। পরে শিক্ষক বেল্লাল হোসেনের সঙ্গেও তারা কথা বলেন।

“অবিভাবক, শিক্ষার্থী ও অভিযুক্ত শিক্ষকের বক্তব্য অনুযায়ী ওই শিক্ষক যে প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত তা তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। আমরা স্কুলের সুনাম, শিক্ষার মানকে সমুন্নত রাখতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছি।”

প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মতিন হাওলাদার বলেন, নির্ধারিত সময়ে আগেই কমিটি তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

“তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেয়ে স্কুলের শিক্ষক কাউন্সিল কমিটির জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। ওই সভাও সকল শিক্ষক খণ্ডকালীন আইসিটির শিক্ষক শেখ মো. বেল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন।

“তদন্ত প্রতিবেদন এবং শিক্ষক কাউন্সিল কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী বেল্লাল হোসেনের চাকরিচ্যুতির জন্য স্কুল ব্যবস্থপনা পর্ষদের সভাপতি জেলা প্রশাসককে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। তিনিই বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।”

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে প্রভাতি শাখার খণ্ডকালীন শিক্ষক শেখ মো. বেল্লাল হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।