বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ বিষয়ের এ পরীক্ষা হয় গত শনিবার।
এ ঘটনা তদন্তে মঙ্গলবার স্কুল কর্তৃপক্ষ বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক শেখ আমজাদ হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক শেখ মো. বেল্লাল হোসেন নিজ বাড়িতে একটি কোচিং সেন্টারে তৃতীয় শ্রেণির বেশকিছু শিক্ষার্থীকে পড়ান।
প্রায় পনেরো দিন আগে ওই কোচিং সেন্টারের শিক্ষার্থীদের ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’বিষয়ে মডেল পরীক্ষা নেন তিনি। ওই প্রশ্নে সঙ্গে বাগেরহাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ওই বিষয়ের প্রশ্নপত্র হুবহু মিলে গেছে বলে তাদের ভাষ্য।
“ঘটনাটি তদন্ত করতে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক শেখ আমজাদ হোসেনকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
কমিটিকে আগামী দুই কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় যারা জড়িত থাকবেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে প্রভাতি শাখার খন্ডকালীন শিক্ষক শেখ মো. বেল্লাল হোসেনের ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্যদের সভাপতি বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, “বিষয়টি আমি শুনেছি। বর্তমান সরকারের অবস্থান কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।” তাদের তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।