ধর্ষণ ও হত্যার আসামির মৃত্যু, নির্যাতনের অভিযোগ

বরিশালে একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামি হাসপাতালে মারা গেছেন, পুলিশ হেফাজতে যাকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।  

বরিশাল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Dec 2017, 03:37 PM
Updated : 10 Dec 2017, 03:37 PM

বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার গভীর রাতে মো. সিরাজুল ইসলামের মৃত্যু হয়।

একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় গত ২ ডিসেম্বর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থেকে এক সহযোগীসহ সিরাজুলকে পুলিশ আটক করেছে। আদালতে হাজির করা হলে ৫ ডিসেম্বর তাকে বরিশাল কারাগারে পাঠানো হয়।

হাসপাতাল পরিচালক ডা. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “শারীরিক নির্যাতনের ফলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।”

তিনি সাংবাদিকদের জানান, ৮ ডিসেম্বর রাতে সিরাজুলকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে কারা কর্তৃপক্ষ। তার পায়ে ও হাতে আঘাতের চিহৃ রয়েছে।

বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. বদরুদ্দোজা বলেন, আসামিকে কারাগারে দেওয়ার সময়ই তার শরীরে আঘাতের চিহৃ ছিল। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বরিশাল মহানগর পুলিশের কমিশনার এসএম রুহুল আমীন বলেন, আসামি নিজেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার করেছেন। এ ক্ষেত্রে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয়নি।

“তবুও পুলিশ হেফাজতে যদি আসামিকে নির্যাতন করা হয়ে থাকে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

গত ১৯ নভেম্বর ইন্সটিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষার্থী ও নগরীর ডেফুলিয়ার আলমগীর খানের মেয়ে সাদিয়া আক্তার কলেজের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন।

এ ঘটনায় ছাত্রীর বাবা ২২ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওই জিডির সূত্র ধরে এবং মেয়েটির মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে গত ২ ডিসেম্বর সিরাজকে পিরোজপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এরপর সিরাজুলকে প্রধান আসামি করে একটি অপহরণ মামলা করা হয়েছে।

পুলিশের ভাষ্য, আটকের পরে সিরাজুল পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন যে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর সঙ্গে ঘটনার ১৫ দিন আগে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২০ নভেম্বর মেয়েটিকে মঠবাড়িয়ায় এনে সহযোগীদের নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।

এ সময় ধর্ষণের বিষয়টি ফাঁস করার হুমকি দিলে সহযোগীদের নিয়ে মেয়েটিকে হত্যা করে মাছুয়া এলাকার বলেশ্বর নদীতে ফেলে দেয় তারা।