গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানার ওসি মো. আলম চাঁদ জানান, এ ঘটনায় শনিবার নির্যাতনের শিকার মহর চাঁন বিশ্বাস বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মহর চাঁন বিশ্বাস (৫৫) কালীগঞ্জের নাগরী ইউনিয়নের বরকাউ গ্রামের মৃত হর মহন বিশ্বাসের ছেলে এবং স্থানীয়ভাবে মুড়ি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
মহর বিশ্বাসের ছেলে অমৃত বিশ্বাস বলেন, প্রতিবছরের মতো স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এলাকায় কীর্তনের আয়োজন করেছে। এ উপলক্ষে গত বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) তাদের বাড়ি গিয়ে তার বাবার কাছে আর্থিক সহযোগিতা হিসেবে বড়কাউ গ্রামের ভূপেন মল্লিক (৬০), সুকমল বিশ্বাস (৩৫) ও শিপুল বিশ্বাস (২৪) সাত হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
কিন্তু তার বাবা দাবিকৃত চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা রাগ করে চলে যান বলে জানান অমৃত।
অমৃত বলেন, ওইদিন সন্ধ্যায় একই গ্রামের মোতালিবের ছেলে হাফিজুল মিয়া (৩৫), জালাল উদ্দিনের ছেলে সোহেল (৩০) তার বাবাকে কথা আছে বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান।
“পরে বড়কাউ বাজারের দক্ষিণ পাশে একটি নির্জন ঘরে নিয়ে উপরোক্ত পাঁচ জনসহ অজ্ঞাত আরও ২-৩ জন মিলে লোহার রড ও গজারি কাঠ দিয়ে নির্যাতন চালান।
অমৃত বলেন, “প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বাবাকে মারধরের পর বাড়িতে ফোন আমার মায়ের কাছ থেকে জনতা ব্যাংকের একটি চেক বই আনিয়ে একটি ফাঁকা চেকে স্বাক্ষর করিয়ে নেন।”
উত্তরার উত্তরখান জনতা ব্যাংক শাখায় ওই সঞ্চয়ী হিসাবটি (নম্বর এসবি-১০-এফএল ১৫৭৮৭৯৫) অৃমতের মায়ের নামে করা হয়েচে বলে তিনি জানান।
এরপর তার বাবাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অমৃত জানান।
সেখান থেকে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে টঙ্গির একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসা শেষে শনিবার থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন বলে অমৃত জানান।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আলম চাঁদ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রমাণ হলেই আসামিদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া তাদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”