বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফআইডিসি) অর্থায়নে নির্মিত এ প্লান্ট শুক্রবার উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
এই প্লান্টের প্রকল্প পরিচালক তাওহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২ দশমিক ৩৮ একর জায়গায় স্থাপিত এই ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
শুক্রবার প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষে উৎপাদন শুরু হয়েছে জানিয়ে তাওহিদুল বলেন, এ প্লান্টে প্রতি মাসে দশ হাজার ঘনফুট কাঠ সিজনিং করা যাবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শেষে এ উৎপাদন দাঁড়াবে ২০ হাজার ঘনফুটে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহিত বলেন, এই প্লান্ট স্থাপনের ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে; কাঠ আমদানি হ্রাস পাবে।
“জীবনী শক্তি হারানো রাবার কাঠ এতদিন শুধু জ্বালানি কাঠ হিসেবে ব্যাহৃত হতো। ট্রিটমেন্টের ফলে সেটি মূল্যবান কাঠে পরিণত হবে। এর ফলে জাতীয় অর্থনীতি মজবুত হবে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আব্দুলাহ আল ইসলাম জ্যাকব প্রমুখ।
তাই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনের আহব্বান জানান তিনি।
পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আব্দুলাহ আল ইসলাম জ্যাকব জানান, এ প্লান্ট স্থাপনের ফলে বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রতিমাসে আড়াই কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করবে।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসতিয়াক আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসীন, সংসদ সদস্য ইয়াহিয়া চৌধুরী প্রমুখ।
বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের শ্রীমঙ্গলের মহাব্যবস্থাপক মো. শাকিল আহমদ জানান, সিলেট জোনে, সরকারি চারটি রাবার বাগানে এই মুহূর্তে রাবার উৎপাদনে অক্ষম সাত লাখ গাছ রয়েছে। এগুলোর বর্তমান বাজার মুল্য ১৯ কোটি টাকা; আর টিটমেন্টের পর তার মূল্য হবে ৩৮৪ কোটি টাকা।
“বর্তমানে প্রতি ঘনফুট কাঠের মূল্য ২৫ থেকে ৩০ টাকা। সিজনিং করার পর তার মূল্য হবে ১১শ থেকে ১৫শ টাকা।”
রাবার গাছ সিজনিং করার পর স্থানীয়রা সাশ্রয়ী মূল্যে অনান্য গাছও এ প্লান্টে সিজনিং করাতে পারবেন বলে জানান শাকিল।
শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন ও ব্যবসায়ী শেখ লৎফুর রহমান বলেন, এ প্লান্ট স্থাপনের ফলে এই এলাকার মানুষ তাদের বাড়ির কাঠ সিজনিং করতে পারবে।