নীলফামারীতে সাত দিনের বই মেলা শুরু

‘আলো ছড়াতে, আঁধার তাড়াতে বই পড়ি, পাঠাগার গড়ি’ শ্লোগান নিয়ে নীলফামারীতে সাত দিনের বই মেলা শুরু হয়েছে।

নীলফামারী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Dec 2017, 11:17 AM
Updated : 8 Dec 2017, 11:17 AM

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর শুক্রবার দুপুরে শহরের বড় মাঠে জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ মেলার উদ্বোধন করেন। 

উদ্বোধন অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, “আমরা যদি সন্তানদের হাতে বই তুলে দেই তাহলে তাদের জ্ঞান বাড়বে। জ্ঞানী হয়ে তারা প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে চাকরিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা সফলতা অর্জনসহ দেশ ও দেশের মানুষকে ভালবাসতে শিখবে।”

তাই পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি সন্তানদের হাতে সৃজনশীল বই তুলে দিতে অবিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী।

আগে জেলা পর্যায়ে বই মেলার নামে চুড়ি-শাড়ির দোকান বসত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সে সময় মেলার কোনো আকর্ষণ ছিল না। তবে এখন দেশের নামকরা প্রকাশনাগুলো অংশ নেওয়ায় মেলার আকর্ষণ অনেক বেড়েছে।

আগে বই মেলা অনুষ্ঠিত হতো জেলা পর্যায়ে, সেখানে স্থানীয় পুস্তক ব্যবসায়ীরা অংশ নিতেন। এতে মেলার উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হতো না। এ কারণে বই মেলার তাৎপর্য ঢাকা থেকে জেলা পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে সরকার জাতীয় পর্যায়ের প্রকাশকদের অংশগ্রহণে প্রথমবারের মতো এমন মেলার আয়োজন করেছে বলে মন্ত্রী জানান।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীমের সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠানের আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক নজরুল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান, নীলফামারী পৌর সভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, সংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক ফরিদ উদ্দিন, গোলাম নবী হাওলাদার।

জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের পরিচালক নজরুল ইসলাম বলেন, আগামী চার মাসের মধ্যে দেশের প্রতিটি বিভাগের দুটি করে জেলায় মোট ১৬টি বই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

“সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রের সহযোগিতায় এসব মেলার আয়োজন করবে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন। নীলফামারী জেলার বই মেলার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এটির সূচনা হলো।”

এর আগে বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম জানান, মেলায় শিশু-কিশোরদের জন্য কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, হাতের লেখা, কুইজ প্রতিযোগিতা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক নাটকসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

মেলা চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।