সালাউদ্দিনের আইনজীবী রাসেল মাহমুদ মান্না জানান, জেলার হাকিম আদালতের বিচারক মীর শওকত হোসেন পাঁচ হাজার টাকার বন্ডে মঙ্গলবার তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
সোমবার লক্ষ্মীপুর ডিসি কলোনির ভেতরে জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কাকলি শিশু অঙ্গন বিদ্যালয়ে প্রবেশকে কেন্দ্র করে উদ্দিন শরীফ ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শেখ মুর্শিদুল ইসলামের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়।
এ ঘটনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইএনও) মো. নূরুজ্জামান ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ‘অসদাচরণের দায়ে’ তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
একে ‘ব্যক্তিগত আক্রোশ’ দাবি করে বিএমএর লক্ষ্মীপুর জেলার সভাপতি আশফাকুর রহমান প্রতিবাদ জানান। তিনি মঙ্গলবার বেলা ১২টার মধ্যে শরীফকে মুক্তি না দিলে সব চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ করার ঘোষণা দেন।
শরীফ জামিন পাওয়ার পর বেলা সোয়া ১২টার দিকে কারাগার থেকে স্থানীয় চিকিৎসকরা তাকে নিয়ে যান সিভল সার্জন কার্যালয়ে।
শরীফ সাংবাদিকদের বলেন, “এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় এবং সিনিয়র চিকিৎসক যেন অসম্মানিত ও অপমানিত না হন এজন্য জোর দাবি জানাই।
“একই সঙ্গে মোবাইল কোর্টের নামে যে তৎপরতা চালানো হচ্ছে, অবশ্যই এটি বন্ধ করাসহ যারা এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”