বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে টঙ্গী রেল জংশনের মাস্টার আব্দুল হালিম জানান।
আব্দুল হালিম জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তুরাগ ট্রেনটি সন্ধ্যা ৭টা ৮ মিনিটে টঙ্গী জংশনে থামে। রাত ৮টার দিকে কিছু যাত্রী অতর্কিতভাবে স্টেশনের কন্ট্রোল রুমে হামলা চালায়।
“এ সময় যাত্রীরা পাথর নিক্ষেপ করে কন্ট্রোল রুমের দরজা, জানালার কাচ ভাংচুর এবং কর্মচারীদের মারধর করে। তাদের হামলায় স্টেশনের কর্মচারী জাকির হোসেন, ইলিয়াস, হিরণ মিয়া ও নিরাপত্তা কর্মী আবুল হোসেন আহত হন।”
পরে রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে ট্রেনটি জয়দেবপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বলে জানান তিনি।
ট্রেনের যাত্রীরা জানান, সন্ধ্যার দিকে ঢাকার কমলাপুর থেকে তুরাগ ট্রেনটি জয়দেবপুরে আসার সময় টঙ্গী রেল জংশনে যাত্রা বিরতি করে। দীর্ঘ সময় ধরে থেমে থাকা ট্রেনটি না ছাড়ার কারণে কিছু যাত্রী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে স্টেশনে হামলা করে। এর মধ্যে কিছু যাত্রী ট্রেনের কয়েকটি বগির জানালার কাঁচ ভাংচুর করে।
টঙ্গী থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, রেলওয়ে পুলিশ ও খবর পেয়ে টঙ্গী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জয়দেবপুর জংশন পুলিশ ক্যাম্পের এসআই এসএম রকিবুল হক জানান, ট্রেনের দুইটি বগির চারটি জানালার কাচ ভাঙ্গা অবস্থায় রাত ৯টার দিকে জয়দেবপুর রেল জংশনে এসে পৌঁছে।