সৈয়দপুর থানার ওসি শাহজাহান পাশা জানান, নিহত মামুন অর রশীদ মামুনের বড়ভাই আব্দুর রশীদ বৃহস্পতিবার সৈয়দপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেছেন।
বুধবার সৈয়দপুর শহরের নয়াটোলা জসিম বাজারে একটি ভাড়া বাড়িতে মামুন অর রশীদ মামুন (৪০) ও সাথী আরার (২৩) গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। তারা পরস্পর মামাত ও ফুপাত ভাইবোন।
মামুন দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার নতুনবাজারের মৃত মনছুর আলীর ছেলে, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং দিনাজপুর জেলা জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
সাথী আরা একই উপজেলার পোড়াভিটা গ্রামের মহেবুল ইসলামের মেয়ে।
ওসি শাহজাহান পাশা জানান, চিকিৎসক তৌফিক ইমামের বাড়িটি দুই বছর থেকে শিবলী সাদিক নামের এক অটোরিকশাচালক ভাড়া নিয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ বসবাস করছিলেন।
“বুধবার সকালে ওই বাড়িতেই মামুন ও সাথীর গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। কে বা কারা তাদের হত্যা করেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”
তবে ঘটনার পর থেকে শিবলী সাদিক ও তার স্ত্রী পলাতক রয়েছেন বলে ওসি জানান।
ওসি বলেন, নারীঘটিত কারণে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। শিবলী ও তার স্ত্রী গ্রেপ্তার হলেই হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য জানা সম্ভব হবে। তাদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।