জয়পুরহাটের জেলা ও দায়রা জজ মমতাজ বেগম বুধবার দুই বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতের কাঠগড়ায় ছিলেন।
সাজাপ্রাপ্ত সুমন হেমব্রম দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার রতনপুর গ্রামের নবীন হেমব্রমের ছেলে।
আদালতের এপিপি গোকুল চন্দ্র মণ্ডল মামলার নথির বরাতে বলেন, সুমন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলায় ভীমপুর-তালপাড়া গ্রামে শ্বশুর মানুয়েল মারাণ্ডির বাড়িতে থাকতেন। ২০১৫ সালের ২০ জুন রাতে যৌতুকের দাবিতে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ধারালো ছুরি নিয়ে স্ত্রী সিলভিয়ার ওপর হামলা করেন সুমন।
তাকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে সিলভিয়ার মামা লুকাস হেমব্রম, মা সন্ধ্যা রানী ও বোন টেরিজাকে কুপিয়ে হত্যা করেন সুমন। আর ঘটনা দেখে ফেলায় নিজের পাঁচ বছরের ছেলে সানীকেও হত্যা করেন।
ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান সিলভিয়া। তিনি এখনও পঙ্গুত্ব নিয়ে বেঁচে আছেন।
পিপি গোকুল বলেন, ঘটনার পরদিন সিলভিয়ার বাবা মানুয়েল বাদী হয়ে সুমনকে একমাত্র আসামি করে পাঁচবিবি থানায় মামলা করলে তিন মাসের মধ্যে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
পিপি গোকুল মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
তবে আসামিপক্ষের আইনজীবী নূরল ইসলাম এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন।