আনন্দ সমাবেশে ইউএনও-ওসির সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত আ. লীগ নেতা

টাঙ্গাইলে প্রশাসন আয়োজিত আনন্দ শোভাযাত্রা ও সমাবেশে ইউএনও ও ওসির পাশে বসে বক্তৃতা দিলেন অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত একজন আওয়ামী লীগ নেতা; যিনি পুলিশের খাতায় পলাতক।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Nov 2017, 03:25 PM
Updated : 25 Nov 2017, 04:49 PM

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া উপলক্ষে শনিবার দেশের অন্য সব জায়গার মতো আনন্দ শোভাযাত্রা ও সমাবেশের আয়োজন করে গোপালপুর উপজেলা প্রশাসন।

গোপালপুর থানা চত্বর ও উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত সমাবেশে ইউএনও দিলরুবা শারমীন ও গোপালপুর থানার ওসি হাসান আল মামুনের সঙ্গে এক মঞ্চে বক্তৃতা দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম তালুকদার সুরুজ।

গত ১৫ নভেম্বর এক অস্ত্র মামলায় সুরুজকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দেন টাঙ্গাইলের ১ নম্বর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিঞা।

তার বিরুদ্ধে মামলায় বলা হয়, ২০১৬ সালের ৮ এপ্রিল টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল সুরুজের গোপালপুর উপজেলা সদরের নন্দনপুর এলাকার বাসায় অভিযান চালায়।

সে সময় সুরুজ পালানোর চেষ্টা করেন। পুলিশ তাকে ধরে তার কাছ থেকে চারটি গুলিসহ একটি বিদেশি পিস্তল উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় পরের দিন ডিবির এসআই আসাদুজ্জামান টিটু বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে ডিবির এসআই মিজানুর রহমান তদন্ত শেষে সুরুজের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

সুরুজ গত বছর ১৬ অক্টোবর জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে পলাতক জানিয়ে মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নুরুল ইসলাম বলেন, “জামিন নিয়ে পলাতক হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।”

ইউএনও দিলরুবা শারমীনের সভাপতিত্বে ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইউনুছ ইসলাম তালুকদার। অনুষ্ঠানে পৌর মেয়র রকিবুল হক, ওসি হাসান আল মামুনও বক্তব্য দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি প্রকাশ্য সমাবেশে কীভাবে অংশ নিলেন জানতে চাইলে ওসি মামুন বলেন, “সুরুজের সাজা হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার কাগজপত্র হাতে পাইনি।”