সাভারের হরিণধরা এলাকার ট্যানারি পুলিশ ফাঁড়ির এসআই শাহ আলমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন আনোয়ার হোসেন (৪০) ও আনিসুর রহমান (৩৮)।
আনিসুর সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের ফিরিঙ্গকান্দা এলাকার আজিবুর রহমানের ছেলে। আর আনোয়ার মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর থানার উত্তর নয়াবাড়ী এলাকার নাছির উদ্দিনের ছেলে।
আনোয়ার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর হেমায়েতপুরের ঋষিপাড়া কাঁঠালতলায় একটি হোটেলে বসে পুরি খাচ্ছিলাম। তখন এসআই শাহ আলমসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা এসে আমাকে ধরে নিয়ে যায়।
“রাতে ট্যানারি ফাঁড়িতে নিয়ে মারধর করে। চুরি-ডাকাতির মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা দাবি করে। খবর পেয়ে রাতে আমার স্ত্রী মোসলেমা আক্তার ফাঁড়িতে আসলে শাহ আলম তাকে বকাঝকা করে বের করে দিয়ে টাকা জোগাড় করতে বলেন।”
পরে তার স্ত্রী সিংগাইরের পৈতৃক ভিটার দলিল বন্ধক রেখে ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করেন জানিয়ে তিনি বলেন, “টাকা পাওয়ার পর এসআই শাহ আলম শনিবার দুপুর ১২টার দিকে আমাকে ছেড়ে দেন। এখন কিভাবে বাড়ির দলিল ছাড়িয়ে আনব সেই দুশ্চিন্তায় রয়েছি।”
আর আনিসুর রহমান হানিফ পরিবহনের শ্রমিক পরিচয় দিয়ে বলেন, “হেমায়েতপুরের মুসলিমপাড়া নিজ বাসার সামনে চা দোকান থেকে বৃহস্পতিবার রাতে আমাকে ধরে নিয়ে যান এসআই শাহ আলম। ট্যানারি ফাঁড়িতে নিয়ে মারধর করে এক লাখ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে চুরি ও ডাকাতির মামলার আসামি করার ভয় দেখান।
“পরে আমার আত্মীয়-স্বজনরা ৬০ হাজার টাকা দিলে শুক্রবার দুপুরে আমাকে ছেড়ে দেন।”
তবে এসআই শাহ আলম টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “তারা দুইজনই চোর। তাদের বিরুদ্ধে ট্যানারি থেকে তামার তার চুরির অভিযোগ রয়েছে। তারা তার চুরির কথা স্বীকারও করেছেন।
“কিন্তু তারা এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার মুচলেকা দিয়েছেন, তাই তাদের ছেড়ে দিয়েছি।”
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ওসি মহসিনুল কাদির বলেন, “বিষয়টি নিয়ে সামনের দিকে আর আগানোর দরকার নাই। আমি ওই এসআইকে ডেকে শাসিয়ে দিচ্ছি, যাতে আর এ ধরনের কোনো কাজ না করে।”