এই চেয়ারম্যানের শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার মঠবাড়িয়া হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করেছে পৌর শহরের ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সৌমিত্র সিংহ রায় অভিযোগ করেন, গত মঙ্গলবার রাতে মঠবাড়িয়া সদর ইউপি চেয়ারম্যান এবিএম ফারুক হাসান অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
বুধবার সকালে জরুরি বিভাগে রোগী দেখার সময় চেয়ারম্যান লোক দিয়ে তাকে উপরে ডেকে পাঠান। তিনি জরুরি বিভাগে রোগী দেখায় ব্যস্ত থাকার কারণে সে সময় যেতে পারেননি বলে জানান।
তিনি বলেন, “অল্প সময় পরই চেয়ারম্যান ফারুক হাসান নিজেই জরুরি বিভাগে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকেন এবং হুমকিধামকি দিয়ে চলে যান।”
বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন বলে জানান সৌমিত্র।
এ ব্যাপারে ফারুক হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি অসুস্থ ছিলেন রাত থেকেই। সকাল হলেও কোনো চিকিৎসক তার সঙ্গে দেখা করনেনি।
তিনি কোনো চিকিৎসকের সঙ্গে খারাপ আচারণ করেননি বলে দাবি করেন।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধনে ডায়াগনস্টিক মালিক সমিতির সভাপতি ফজলুল হক মনির সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আজিম-উল-হক, আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিজু, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক জুলহাস শাহীন, ড্রাগিস্ট সমিতির সহ-সভাপতি আমির হোসেন, ফারিয়ার সভাপতি ফেরদৌস মৃধা, ডায়াগনস্টিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জলিলুর রহমান দুলাল, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান সিফাত, সাংগঠনিক সম্পাদক আকতারুজ্জামান নিজাম প্রমুখ।
বক্তারা, ইউপি চেয়ারম্যানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
আগামী তিন দিনের মধ্যে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন তারা।