জেলার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, বুধবার মধ্যরাতে স্বপ্নার বড় ভাই আমির হোসেন বাদী হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
“আমরা ধারণা করছি, দলের আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়ে থাকতে পারে। আসামিদের ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।”
স্বপ্না (৪০) নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়নের ভাঙ্গুরায় বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, “যাদের সঙ্গে স্বপ্নার রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত বিরোধ রয়েছে তাদেরই এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে জাহাঙ্গীর নামের এক অটোরিকশাচালককে আটক করেছে পুলিশ।”
তবে ‘তদন্তের স্বার্থে’ আসামিদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেনি পুলিশ।
স্বপ্না উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের চারপাড়া গ্রামের খলিল মিয়ার মেয়ে। উপজেলার সাতমোড়া ইউনিয়নের দশমৌজা এলাকায় বুধবার রাতে দলীয় সভা শেষে একটি অটোরিকশায় করে চারপাড়া গ্রামের বাড়ি ফিরছিলেন।
পথে ভাঙ্গুরা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়র সামনে রাত ৯টার দিকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।