উপজেলার দক্ষিণ গড্ডিমারী এলাকায় মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
মৃত জেমি আক্তার (১৪) ওই গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে।
এ ঘটনায় বুধবার পুলিশ এক কিশোরকে (১৬) আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
জেমির মা নূরবানু বেগম বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে থেকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে জেমিকে উত্ত্যক্ত করছিল দুই কিশোর। বিষয়টি ওই দুই কিশোরের বাবা-মাকে জানালে তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
“মঙ্গলবার স্কুলে গিয়ে জেমি জানতে পারে ওই কিশোরের একজন নিজের ফেইসবুকে জেমির ‘বিকৃত’ করে আপলোড করেছে। এরপর সে বিষন্ন মনে স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে কান্নাকাটি করেছে।”
নূরবানু আরও বলেন, এনিয়ে জেমির বড় ভাই রনিও ফেইসবুকে ওই ছবি দেখে জেমিকে বকাবকি করেছে। পরে রাত ৮টার দিকে নিজ ঘরে ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানে ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করে।
হাতীবান্ধা থানার ওসি শামীম হাসান সরদার জানান, থানা পুলিশ রাতেই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।
“মেয়েটির বাবার অভিযোগ পেয়ে ওই দুই কিশোরের একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করেছে পুলিশ। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়।”
জেমির বাবা জহুরুল ইসলাম বলেন, “কখনও ভাবিনি আমি আমার মেয়েকে এভাবে হারাব। আমি এ ঘটনার ন্যায্য বিচার চাই।”