এছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর এবং সাধারণ কাউন্সিল পদে মোট ২৯৩ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন বুধবার উৎসবমূখর পরিবেশে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
রিটার্নিং ও রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, মেয়র পদে ১৪ জন মনোনয়নপত্র নিলেও জমা দিয়েছেন ১৩ জন।
স্বতন্ত্র হিসেবে জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, দলটির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম আব্দুর রউফ মানিক, জেলা যুবদলের নাজমুল আলম নাজু, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ, ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান বনি, শাকিল রায়হান ও সুইটি আনজুম।
জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাশেক রহমান মনোনয়নপত্র জমা দেননি।
তিনি বলেন, “দলীয়ভাবে সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টুকে মনোনয়ন দেওয়ায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি।”
১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদের বিপরীতে ৬৭ জন এবং ৩৩টি সাধারণ কাউন্সিলর পদের বিপরীতে ২২৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন বলে সুভাষ চন্দ্র জানান।
তিনি জানান, মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২৫ থেকে ২৬ নভেম্বর। বাছাইয়ে বাদ পড়লে আপিল করা যাবে ২৭ থেকে ২৯ নভেম্বর এবং অপিল নিষ্পত্তি হবে ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩ ডিসেম্বর। ভোট গ্রহণ ২১ ডিসেম্বর।
ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির নেতা মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে ২৮ হাজার ৪৫০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে ঝন্টু প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। ঝন্টু পেয়েছিলেন ১ লাখ ৬ হাজার ২৫৫ ভোট। মোস্তফা পান ৭৭ হাজার ৮০৫ ভোট।
২১ হাজার ২৩৫ ভোট পেয়ে চতুর্থ অবস্থানে ছিলেন বিএনপির কাওসার জামান বাবলা। ৩৭ হাজার ২০৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে ছিলেন জাতীয় পার্টির মানিক। ইসলামী আন্দোলনের গোলাম মোস্তফা বাবু পান ১৫ হাজার ৬৮১ ভোট।
৯৭৯ ভোট পেয়ে বাসদের আব্দুল কুদ্দুস, ৯৫৯ ভোট পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি জামানত হারিয়েছিলেন।