সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সদরে আওয়ামী লীগ, জাসদ, জাতীয় পার্টি, সিপিবি ও বাসদ একসঙ্গে বুধবার দুপুরে আনন্দ মিছিল করেছে।
বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করে।
এদের মধ্যে প্রথম পাঁচজন পলাতক রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সুন্দরগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে একটি আনন্দ মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তির পক্ষ থেকে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।
জেলা আওয়ামী যুবলীগও দুপুরে গাইবান্ধা শহরে একটি আনন্দ মিছিল করেছে।
রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মামলার সাক্ষী সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধর্মপুর ও মজুমদার গ্রামের আব্দুর রশিদ, রফিকুল ইসলাম, রাজা মিয়া এবং সুন্দরগঞ্জের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার এমদাদুল হক বাবলু ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সাজেদুল হক আনন্দ প্রকাশ করেন।
রায়ে আনন্দ প্রকাশের পাশাপাশি তারা পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তার করে অবিলম্বে রায় কার্যকরের দাবি জানান।
পাশাপাশি মামলার সাক্ষী ও নিহতের পরিবার-পরিজনদের জামায়াত-শিবিরের সন্ত্রাসী চক্রের হামলার হাত থেকে নিরাপত্তা বিধানেরও দাবি জানান তারা।
জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফরহাদ আব্দুল্লাহ হারুন বাবলু পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে রায় কার্যকরের দাবি জানান।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সৈয়দ শামস্-উল আলম হিরু প্রত্যাশিত রায় পেয়েছেন জানিয়ে দ্রুত কার্যকর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
মামলার বাদী আনিছুর রহমান সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “আমিসহ আমার পরিবার এ রায়ে খুশি। তবে অবিলম্বে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারসহ রায় কার্যকর করা হলে আরও খুঁশি হব।”
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, রায় ঘোষণার পর তার ও তার পরিবারসহ সাক্ষীদের উপর স্বাধীনতা বিরোধী চক্র যেকোনো মুহূর্তে হামলা চালিয়ে জীবন নাশের মতো ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই এ রায় যতদিন কার্যকর না হয় ততদিন বাদী ও সাক্ষীর স্বজনদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।