বুধবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মযহারুল ইসলাম স্মরণে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপির ২০০১ থেকে ০৬ সালের রক্তাক্ত ইতিহাস আর ২০১৩-১৪ সালের অগ্নিসন্ত্রাসের কথা ভুলে মানুষ যায়নি। ক্ষমতায় থাকতে তারা সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া, মঞ্জুরুল ইমাম, আহসান উল্লাহ মাস্টারসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে।
“আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতাকর্মীর রক্ত ঝরিয়েছে। রক্তের নদী আর কান্নার দরিয়ায় ভাসিয়েছে বাংলার মানুষকে। এখন তারা আবার লোক দেখানো মায়াকান্না করছে।”
আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মতো আরও উন্নত হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে সেতু মন্ত্রী আরও বলেন, দলের ভেতরে প্রতিযোগীতা থাকবে, সেটা যেন অসুস্থ না হয়।
“যারা উন্নয়ন করবেন আর সকলের সাথে ভাল আচরণ করবেন আগামী নির্বাচনে তাদেরকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে।”
অধ্যাপক মযহারুল প্রসঙ্গে এ আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, “বঙ্গবন্ধুর রক্তভেজা বাংলায় আমরা যখন এতিম, তখন অনেক সিনিয়র নেতাদের দরজায় কড়া নাড়লেও তারা দরজা খোলেনি। অথচ সেই সময়েও মযহারুল ইসলাম আমাদের সাহস যুগিয়েছেন, অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।
“বঙ্গবন্ধুর জন্য তিনি চোখের জল ফেলেছেন। এটা ভোলার নয়।”
সভার আগে মযহারুল ইসলামের মাজার জিয়ারত করেন এবং স্মারক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন ওবায়দুল কাদের।
অধ্যাপক মযহারুল ইসলাম স্মৃতি পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এ স্মরণসভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহম্মেদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, মেরিনা ইসলাম কবিতা, সাবেক এমপি চয়ন ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বিশ্বাস, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাবিবে মিল্লাত মুন্না, হাসিবুর রহমান স্বপন এমপি প্রমূখ।