শহরতলীর উত্তর কাজিবাড়ি সন্তোলা গ্রামে সোমবার গভীর রাতের এ ঘটনায় পুলিশ এক যুবককে আটক করেছে।
আটক জাহিদ মিয়া (৩২) ওই পুলিশ কর্মকর্তার প্রতিবেশী।
ডাকাতির শিকার গৃহকর্তা এএসআই শাহারুল আলম রংপুর সিআইডিতে কর্মরত আছেন।
শাহারুল আলমের প্রত্যক্ষদর্শী ছেলে সাকিব ও ভাতিজা সজিব জানান, বাসায় কেউ না থাকায় রাতে খাবার খেয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আড়াইটার দিকে ৮-১০ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল লোহার শাবল দিয়ে ঘরের মূল দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে তাদের দুজনের হাত-পা ও মুখ দড়ি দিয়ে বেঁধে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আটকে রাখে।
পরে তারা তিনটি রুমে থাকা স্টিলের আলমারি ও ওয়্যার ড্রোব ভেঙে সাত ভরি স্বর্ণালঙ্কার, একটি পালসার মোটরসাইকেল, একটি ল্যাপটপ, দুটি মোবাইল ফোন সেট, একটি ডিভিডি প্লেয়ার, নগদ টাকা, ব্যাংকের কাগজপত্র, জমির দলিল ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে যায় বলে তারা জানান।
শাহারুল আলম জানান, বিভাগীয় পরীক্ষা ও স্ত্রীর অসুস্থ্যতার কারণে তিনি ঢাকায় অবস্থান করছেন। এ কারণে বাড়িতে ভাতিজা ও ছেলে ছিল।
“সংঘবদ্ধ ডাকাতরা বাড়ির প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।”
তিনি বাসায় থাকলে ডাকাতরা হয়তো তাকে হত্যা করত বলে আশঙ্কা শাহারুলের।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি বোরহান উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পুলিশ ডাকাতদের সনাক্ত ও মালামাল উদ্ধারে তৎপর রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রতিবেশী এক যুবককে আটক করা হয়েছে।