গ্রেপ্তাররা হলেন সদর মডেল থানা পুলিশের এএসআই রফিকুল ইসলাম ও কনস্টেবল শরীফুল ইসলাম এবং সদর উপজেলার বেতবাড়িয়ার আল আমিনের স্ত্রী আঁখি আক্তার।
গ্রেপ্তারের পর তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে ওসি নবীর বলেন, সোমবার দুপুরে শহরের মসজিদ রোড পূবালী ব্যাংকের সামনের সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্যবসায়ী জাকির হোসেন। এসময় আঁখি অসুস্থতার ভান করে তার গায়ে ধাক্কা দিয়ে তাকে রিকশায় উঠিয়ে দিতে বলেন। রিকশা উঠিয়ে দিলে আঁখি তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ করেন।
“মানবিক কারণে জাকির তাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে রাজি হন। পরে আঁখির কথামত তার বাড়িতে প্রবেশ করলে সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা এএসআই রফিকুল ও কনস্টেবল শরীফুল তার চোখ বেঁধে হত্যার হুমকি দেন।”
এ সময় তারা জাকিরের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে তিন লাখ টাকা দাবি করে সেই টাকা বিকাশের মাধ্যমে এনে দিতে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, জাকির আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে এএসআই রফিকুল ও কনস্টেবল শরীফুলের কথা মতো কয়েকটি বিকাশ নম্বরে ৮৩ হাজার টাকা এনে দেন।
“আরও টাকার জন্য জাকির আরেক আত্মীয়কে ফোন দিয়ে বিকাশ নম্বর দিলে ওই আত্মীয় বিষয়টি আমাকে জানান। পরে প্রযুক্তির ব্যবহার করে জানা যায় বিকাশ নম্বরটি শহরের মধ্যপাড়া এলাকার ‘মা জেনারেল স্টোর অ্যান্ড টেলিকমের।”
বিষয়টি অপহরণকারীরা জানতে পেরে জাকিরকে মারধর করে অটোরিকশায় তুলে শহরের পুনিয়াউট এলাকায় ফেলে দিয়ে যায়। এরপর জাকির থানায় এসে পুরো ঘটনা জানালে রাতেই এএসআই রফিকুল ও কনস্টেবল শরীফুলকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ওসি।
আর মঙ্গলবার সকালে আঁখিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।