জেলা স্যানিটারি পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ জানান, সোমবার সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. গাউছুল আজম এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন – মাদক বিক্রেতা মন্টু সেখ (২৮) ও ল্যাব টেকনোলজিস্ট মাহমুদুল হাসান (৩০)। মন্টুকে ছয় মাস আর মাহমুদুলকে এক মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী বলেন, বাসি খাবার রাখা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও কর্মচারীদের সনদ না থাকায় তিনটি হাইওয়ে রেস্তোরাঁকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১০টি ইয়াবাসহ আটক মাদক বিক্রেতা মন্টুকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
“হোটেল অ্যারিস্টোক্রেটকে দেড় লাখ টাকা, ফুড ভিলেজ প্লাসকে সাড়ে চার লাখ ও হানিফ হাইওয়ে রেস্টুরেন্টকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।”
এছাড়া তিনটি বেসরকারি হাসপাতালকে সাড়ে ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান পরিদর্শক মোহাম্মদ আলী।
তিনি বলেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ও কেমিক্যাল রাখার অপরাধে সাখাওয়াত মেমোরিয়াল হাসাপাতলকে ছয় লাখ, চিকিৎসক ও নার্সবিহীন হাসপাতাল পরিচালনার অপরাধে আল-মদিনা হাসপাতালকে তিন লাখ ও মা জেনারেল হাসপাতালকে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
“এছাড়া সনদ না থাকায় সাখাওয়াত মেমোরিয়াল হাসপাতালের ল্যাব টেকনোলজিস্ট মাহমুদুল হাসানকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।”
র্যাব-১২ সিরাজগঞ্জ ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার তানভীর ভুঁইয়া, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক সৌমিত্র বসাক, বিএসটিআই রাজশাহী অঞ্চলের পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নাঈম মো. কাজী নুরুন্নবী ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম পরিচালানায় সহযোগিতা করেন।