সদর থানার ওসি সিকদার মশিউর রহমান জানান, রোববার রাতে উপজেলার দস্তানাবাদ ফকিরপাড়া গ্রামের এ ঘটনায় আলম সর্দার নামে (২৮) ওই যুবককে আটক করা হয়েছে।
ওই যুবকের বাবা আহত সাহাদৎ সর্দারকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মৃত আলিফ সর্দার (১১) ও বিলকিস বেগমের (৪২) লাশ নাটোর সদর থানায় রয়েছে।
ওসি সিকদার বলেন, রাত ৮টার দিকে ফকিরপাড়ার সাহাদৎ সর্দারের বাড়িতে হৈ চৈ শুনে গ্রামবাসী সেখানে যায়। এ সময় ওই বাড়িতে আলিফ সর্দার ও বিলকিস বেগমকে গলাকাটা লাশ দেখতে পান।
“স্ত্রী বিলকিস ও নাতি আলিফকে হত্যার কথা শুনে সাহাদৎ সর্দার বাড়িতে এলে তাকেও হাঁসুয়া দিয়ে গলায় আঘাত করেন ছেলে আলম।”
পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় আলমকে আটক করে থানায় আনা হয় এবং তার বাবাকে হাসপাতালে নেওয়া বলে জানান তিনি।
ওসি সিকদার আরও বলেন, “আলম মাদকাসক্ত ও দুটি বিয়ে করেছেন। এনিয়ে পরিবারের সাথে তার বিরোধ চলছিল বলে এলাকাবাসী আমাদের জানিয়েছে।”
আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ ঘটনার ‘রহস্য’ উদঘাটন সম্ভব হবে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।