মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রংপুর কোতোয়ালি থানার এসআই ফেরদৌস আহমেদ জানান, রোববার বিকালে রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তারিক হোসেন তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এরা হলেন সদর উপজেলা খলেয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও শলেয়াশাহ জামে মসজিদের ইমাম সিরাজুল ইসলাম, জামায়াত কর্মী জিল্লুর রহমান, আমিনুল ইসলাম, রশিদুল ইসলাম ও আব্দুল আলীম।
এসআই ফেরদৌস বলেন, পাঁচ আসামিকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে বিচারক আদালত সিরাজুল, জিল্লুর ও আমিনুলের চারদিন করে এবং রশিদুল ও আবদুল আলীমের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জামায়াত নেতা সিরাজুল হামলার চার ইন্ধনদাতাদের একজন বলে জানান তিনি।
‘ধর্ম অবমাননার’ অভিযোগ তুলে রংপুরে যার বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছিল, সেই টিটু রায়কেও তথ্য প্রযুক্তি আইনের মামলায় দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
গত ১০ নভেম্বর ‘ধর্ম অবমাননার’ অভিযোগ তুলে কয়েক হাজার মানুষ ঠাকুরপাড়ায় হামলা চালায়। তারা নয়টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বাড়ির মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক হামলাকারী নিহত এবং সাত পুলিশসহ ৩০ জন আহত হয়।
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি এবং গঙ্গাচড়া থানার এসআই রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন। দুটি মামলায় ৬৯ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও দুই হাজারের বেশি লোককে আসামি করা হয়েছে।
রংপুরের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, দুই মামলায় এ পর্যন্ত ১৮ জামায়াত নেতা-কর্মী ও তিন ইউপি সদস্যসহ ১২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।