সবজির দামে খুশি শার্শার চাষীরা

শীতের শুরুতে ক্রেতারা মৌসুমি সবজির দাম কমার অপেক্ষায় থাকলেও যশোরের শার্শা উপজেলার চাষীরা রয়েছেন খোশমেজাজে।

আসাদুজ্জামান আসাদ, বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Nov 2017, 06:01 AM
Updated : 18 Nov 2017, 06:41 AM

একদিকে দাম বেশি আরেক দিকে বাম্পার ফলন তাদের এই খুশির কারণ বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হীরক কুমার সরকার বলেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকায় শীতের সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। এর আগে কয়েক দফা বন্যাসহ অতিবৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সবজির ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় সবজির ঘাটতি তৈরি হয় সারাদেশে। ফলে দাম বেশি।

শার্শা উপজেলায় এবার পাঁচ হাজার চাষী অন্তত ১৫ হাজার বিঘা জমিতে শীতের সবজি চাষ করেছেন বলে তিন জানান।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন মাঠের সবজিক্ষেত ও বাজার ঘুরে নানা রকম তরতাজা সবজির বাহার দেখা গেছে। এর মধ্যে রয়েছে লাউ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ওলকপি, লালশাক, মুলা শাক, পালং শাক, টমেটো, গাজর প্রভৃতি।

বাগআঁচড়া, নাভারন ও বেনাপোল বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষক ও ক্রেতারা সবজি সংগ্রহ ও বেচাকেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।

উত্তর বারোপোতা গ্রামের উজ্জ্বল আলী বলেন, “বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় দাম ভাল। আমি খুশি।”

হাড়িখালি গ্রামের গোলাম মোস্তফা ৫৫ শতাংশ জমিতে কপি চাষ করেছেন। সার, বীজ ও অন্যান্য মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে প্রায় ১২ হাজার টাকা।তিনি এ মৌসুমে প্রায় লাখ টাকার কপি বেচতে পারবেন বলে আশা করছেন।

কাঠুরিয়া গ্রামের করিব হোসেন বলেন, “৫০ শতাংশ জমিতে লাউসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেছি। এতে আমার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। এরই মধ্যে আমি প্রায় ৯০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি।

“সারা বছর সবজি চাষ করলেও শীতের সবজির গুরুত্ব অন্যরকম। এ সময় অনেক রকম সবজি চাষ করা যায়। বাজারে আগাম সবজি সরবরাহ করতে পারলে ভাল লাভ হয়।”

শার্শার সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হয় বলে জানালেন বাগআঁচড়া বাজারের আড়তদার মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, এ এলাকা থেকে দৈনিক অন্তত ২০ ট্রাক সবজি রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে।

“শীতের সবজিতে বাজার সয়লাব হয়ে গেছে। কিছুদিন আগেও দাম ক্রেতার নাগালের বাইরে ছিল। সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। এতে ক্রেতারা খুশি। তারা এখন ইচ্ছেমতো সবজি কিনতে পারছেন। আর সরবরাহ বেশি হওয়ায় বাইরের জেলার পাইকাররা এসে ট্রাক ভরে নিয়ে যাচ্ছে।”