শুক্রবার বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাপসী রাবেয়া হলের সামনে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে ‘সাবেক স্বামী’ অপহরণ করে বলে অভিযোগ ওঠে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ইচ্ছার বিরুদ্ধে বাবা-মাও জোর করে আমাদের ক্যাম্পাস থেকে তুলে নিতে পারেন না। অথচ তার সাবেক স্বামী কীভাবে ক্যাম্পাস থেকে তুলে নিয়ে যায়! অপহরণের আট ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে কিন্তু এখনও প্রশাসন তার সন্ধান জানাতে পারেনি।
ঘেরাও কর্মসূচির মধ্যে থাকা দর্শন বিভাগের (স্নাতকোত্তর) শিক্ষার্থী শারমিন সুলতানা বন্ধন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আজকের মতো ঘেরাও কর্মসূচি স্থগিত করেছি। যদি ওই শিক্ষার্থীর সন্ধান পাওয়া না যায় তবে শনিবার সকাল ১০টায় আমরা আবার উপাচার্যের বাসভবন ঘরাও করে বিক্ষোভ সমাবেশ করব।”
ওই ছাত্রীর বাবা সন্ধ্যায় রাজশাহীর মতিহার থানায় ‘সাবেক স্বামীসহ’ ছয়জনকে আসামি করে অপহরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এরপর রাতে নওগাঁর পত্নীতলা থানার সরদারপাড়ায় নিজের বাড়ি থেকে মেয়েটির শ্বশুরকে আটক করা হয় বলে ওসি মাজাহারুল ইসলাম জানান।
তার কাছ থেকে ওই ছাত্রীর অবস্থান সম্পর্কে ‘বেশ কিছু তথ্য’ পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
ওই ছাত্রীর সহপাঠীদের বরাত দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লুৎফর রহমান জানান, গতবছর ডিসেম্বরে নওগাঁর পত্মীতলার ওই যুবকের সঙ্গে ওই ছাত্রীর বিয়ে হয়। ছেলেটি ঢাকার একটি ল কলেজে পড়ে। গত সেপ্টেম্বরে মেয়েটি তার স্বামীকে তালাক দিলেও ছেলেটি বিচ্ছেদে রাজি নয়।
“সকালে মেয়েটি হল থেকে সহপাঠীদের সঙ্গে ক্যাম্পাসের দিকে যাচ্ছিল। পথে ওই ছেলে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছেলেটি জোর করে তাকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় বলে আমরা শুনেছি।”