শৈলকুপা থানার এসআই ইকবাল হোসেন জানান, শুক্রবার দুপুরে গোয়ালবাড়ি গ্রাম থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত সোহাগী খাতুন (২৪) ওই গ্রামের গোলাম মোস্তফার মেয়ে।
এসআই ইকবাল পরিবারের বরাতে বলেন, প্রায় ছয় বছর আগে একই উপজেলার বাগুটিয়া গ্রামের উজ্জ্বল হোসেনের সঙ্গে সোহাগীর বিয়ে হলেও কখনও তাদের মধ্যে বনিবনা হয়নি। সোহাগী শেখপাড়া বাজারে ভাড়া বাসায় থেকে সেখানকার দিশা নামের একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন।
“বৃহস্পতিবার বাবার বাড়ি যান সোহাগী। এ সময় তার স্বামী উজ্জ্বলও যান। তবে রাতে খাওয়া-দাওয়া শেষে তারা আলাদা ঘরে ঘুমান। রাত সাড়ে ৩টার দিকে আড়াই বছর বসয়ী নাতির কান্না শুনে মোস্তফা সোহাগীর ঘরের বাইরে থেকে শেকল দেওয়া দেখতে পান। দরজা খুলে গলায় ওড়না পেঁচানো সোহাগীকে ঝুলতে দেখেন বলে বাবার ভাষ্য।”
ঘটনার পর থেকে উজ্জ্বল পলাতক জানিয়ে এসআই ইকবাল বলেন, পুলিশ সোহাগীর দেবর আবদুল আজিজকে গ্রেপ্তার করেছে। আর উজ্জ্বলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।