শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ‘তাপসী রাবেয়া’ হলের সামনে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রক্টর লুৎফর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
তিনি বলেন, অপহরণের শিকার মেয়েটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী।
তার সহপাঠীদের বরাতে প্রক্টর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গতবছর ডিসেম্বরে নওগাঁ জেলার এক যুবকের সঙ্গে ওই ছাত্রীর বিয়ে হয়। ছেলেটি ঢাকার একটি ল কলেজে পড়ে। গত সেপ্টেম্বরে মেয়েটি তার স্বামীকে তালাক দিলেও ছেলেটি বিচ্ছেদে রাজি নয়।
“সকালে মেয়েটি হল থেকে সহপাঠীদের সঙ্গে ক্যাম্পাসের দিকে যাচ্ছিল। পথে ওই ছেলে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছেলেটি জোর করে তাকে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায় বলে আমরা শুনেছি।”
মেয়েটির সহপাঠীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানায়। তবে দুপুর পর্যন্ত মেয়েটির খোঁজ পাওয়া যায়নি।
প্রক্টর বলেন, হলের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও দেখে গাড়ির নম্বর জানার চেষ্টা চলছে। খবর পেয়ে ওই ছাত্রীর চাচা ক্যাম্পাসে এসেছেন।
এ ঘটনায় মামলা করা হবে কি না- সে বিষয়ে পরিবারই সিদ্ধান্ত নেবে বলে অধ্যাপক লুৎফর জানান।
মতিহার থানার ওসি মেহেদী হাসান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের জানিয়েছে, তারা স্বামী-স্ত্রী। তার স্বামীই নাকি নিয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের বলা হয়েছে তাদের খোঁজাখুঁজি করতে। আমরা সব জায়গায় বার্তা পাঠিয়েছি।”
যার বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ, সেই যুবক বা তার পরিবারের বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।