এছাড়া গ্রামবাসীর পিটুনিতে এক ডাকাত আর ডাকাতের ছুরিকাঘাতে একজন আহত হয়েছেন।
কোটচাঁদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন সরকার জানান, বৃহস্পতিবার রাতে রহমতপুর গ্রামের মন্টু মিয়ার বাড়িতে ডাকাতদল হানা দিলে হতাহতের এসব ঘটনা ঘটে।
নিহত দাউদ হোসেন (৬৫) মন্টু মিয়ার ভাই।
কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাজমুস হাবিব জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই।
“তিনি হার্টঅ্যাটাকে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
পরিদর্শক জয়নাল পরিবারের বরাতে বলেন, সাত-আটজনের একদল ডাকাত পানি খাওয়ার কথা বলে মন্টু মিয়ার বাড়িতে ঢোকে।
“তারা ডাকাতিতে বাধা পেয়ে মন্টুর ভগ্নিপতি শফিকুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে। বাড়ির লোকজনের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরাও এগিয়ে আসে। তারা ডাকাতদের ধাওয়া করে।”
ধাওয়া করতে গিয়ে দাউদ অজ্ঞান হয়ে পড়েন জানিয়ে তিনি বলেন, এ সময় গ্রামবাসীর পিটুনিতে তাহাজ্জেল হোসেন নামে ডাকাতকে আহত হন।
আহত তাহাজ্জেল চুয়াডাঙ্গর জীবননগর উপজেলার রায়পুর গ্রামের ভাদু মণ্ডলের ছেলে।
আহত শফিকুল ও তাহাজ্জেলকে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান পরিদর্শক জয়নাল।
তিনি বলেন, আর দাউদ মিয়ার পরিবার অভিযোগ না দেওয়ায় লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ অন্য ডাকাতদের ধরতে অভিযানে নেমেছে বলে তিনি জানান।