এরা হলেন- রংপুর সদর উপজেলার মমিনপুর ইউনিয়নের পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জয়নাল আবেদিন ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ফজলুল হক।
রংপুর কোতোয়ালি থানার ওসি ফেরদৌস আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ওই ইউনিয়নের কুরশা বলরামপুর গ্রাম থেকে জয়নালকে ও মহেশপুর গ্রাম থেকে ফজলুলকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, “হিন্দুদের বাড়ি ঘরে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।”
অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে বলে জানান ওসি।
এ সময় সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একজন নিহত এবং ১০ জন আহত হন।
আগুনে টিটু রায়ের তিনটি, সুধীর রায়ের ছয়টি, অমূল্য রায়, বিধান রায় ও কৌশল্য রায়ের দুটি করে ছয়টি, কুলীন রায়, ক্ষিরোধ রায় ও দীনেশ রায়ের একটি করে ঘর পুড়ে যায়।
হামলার ঘটনায় শনিবার গঙ্গাচড়া ও কোতোয়ালি থানায় দুই হাজারের বেশি লোককে আসামি করে দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
সদরের খলেয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও শলেয়াশাহ জামে মসজিদের ইমাম সিরাজুল ইসলাম সিরাজুল ইসলামসহ ৫৩ জনকে ওই দুই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে ফেইসবুকে ‘ধর্ম অবমাননার’ অভিযোগে তথ্য প্রযুক্তি আইনের এক মামলায় মঙ্গলবার নীলফামারী থেকে টিটুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। টিটু একজন গ্রাম্য কবিরাজ বলে তার মায়ের ভাষ্য।