পাটগ্রাম থানার পরিদর্শক ( তদন্ত) ফিরোজ কবীর জানান, বৃহস্পতিবার পাটগ্রাম উপজেলার বুড়িমারী স্থলবন্দরের শূন্য রেখায় ফরিদ উদ্দিনের (২২) লাশ হস্তান্তর করা হয়।
নিহত ফরিদ উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের ঠাকুরপাড়া গ্রামের শামসুল হকের ছেলে।
পরিদর্শক ফিরোজ জানান, তার কাছে লাশ হস্তান্তর করেন ভারতের কুচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থানার এসআই এনএইচ মন্ডল।
এ সময় কোচবিহার ৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চ্যাংড়াবান্ধা বিএসএফ ও রংপুর-৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বুড়িমারী কোম্পানি সদরের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন বলে তিনি জানান।
মঙ্গলবার রাতে বুড়িমারী ইউনিয়নের উফারমারা সীমান্তের ৮৪০ নম্বর মেইন পিলারের ২ নম্বর উপ-পিলারের কাছ দিয়ে গরু নিয়ে ফিরছিলেন ফরিদসহ কয়েকজন বাংলাদেশি। ওই সময় ভারতের কুচবিহার ৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বিএসবাড়ি বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে গুলি করে। অন্যান্যরা পালিয়ে এলেও গুলিতে ঘটনাস্থলে নিহত হন ফরিদ উদ্দিন।
বুধবার সীমান্তে বিএসএফ ও বিজিবির মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়। এতে বিএসএফের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশসহ ময়নাতদন্ত শেষে লাশ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়।