‘আমি ঘরে এসেও রক্ষা পাইনি শিয়ালের কাছ থেকে’

ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় দুই দিন ধরে একটি শিয়াল একের পর এক হামলা চালিয়ে অন্তত ৪০ জনকে কামড়ে আহত করেছে।

ইলিয়াস আহমেদ ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Nov 2017, 07:19 AM
Updated : 16 Nov 2017, 07:52 AM

ময়মনসিংহ সূর্যাকান্ত হাসপাতালের চিকিৎসক প্রজ্ঞানন্দ নাথ জানান, গত দুই দিনে তারা ৪০ জনকে ভ্যাকসিন দিয়েছেন। পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের সংখ্যা বাড়তে পারে।

ঘাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাজাহান কবির সাজু বলেন, মঙ্গল ও বুধবার তার ইউনিয়নের ঘাগড়া, সুহিলা, দেওখলা, দাপুনিয়া ও কাতলাসেন গ্রামের শতাধিক মানুষকে কামড়ায় একটি ‘পাগলা’ শিয়াল। আহতদের মধ্যে বেশির ভাগ শিশু ও নারী।

অনেকের নাক ও মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ের চিহ্ন তিনি দেখেছেন বলে জানান।

ঘাগড়া গ্রামের ৭০ বছর বয়সী জোবেদা খাতুন বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নামাজের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য বাড়ির সামনে পুকুরে ওজু করতে গেলে একটি শিয়াল তার ওপর হামলা করে।

“আমি দ্রুত ঘরে এসেও রক্ষা পাইনি শেয়ালটির কাছ থেকে। সে আমার হাত-পা কামড়ে অনেক ক্ষত করেছে।”

ক্ষতের যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছেন তিনি।

দাপুনিয়া আইডিয়াল হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুব্রামনি শিয়ালের কামড়ে আহত হয়ে ভর্তি হয়েছে সূর্যাকান্ত হাসপাতালে।

সুব্রামনি জানিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় ঘরে পড়তে বসলে একটি শিয়াল এসে তাকে কামড়াতে শুরু করে। ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে শিয়ালটি পালিয়ে যায়।

সূর্যাকান্ত হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কালিবাজার মোড়লবাড়ির রুমা আক্তার (২৬) জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে তার মা লাইলি বেগম ঘরে শিয়াল শিয়াল বলে চিৎকার করেন। মাকে রক্ষা করতে গেলে তাকে ও তার ছোট ভাই লাবিবকেও কামড়ায় শিয়ালটি।

শিয়ালের কামড়ে আহত আলামিন (২৫) জানান, কয়েকটি গ্রামের অনেক মানুষকে কামড়েছে শিয়ালটি। পরে এলাকাবাসী মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দিয়ে দলবেঁধে শিয়ালটিকে ধাওয়া করে। বুধবার রাত সোয়া ১টার দিকে শেয়ালটিকে তারা হত্যা করে বলে তিনি জানান।