আহত সুফিয়া খাতুন (৬০), তার ছেলেবউ আলেয়া খাতুন (৩৫) ও মেয়ে আঞ্জুয়ারা বেগমকে (৩৮) ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সদর উপজেলার চিলারং মধ্যপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
হাসপাতালের চিকিৎসক শুভেন্দু কুমার দেবনাথ বলেন, “সুফিয়ার ডান হাতের তিনটি আঙুল ধারালো কিছু দিয়ে কেটে প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয়েছে। অস্ত্রোপচার করে এ আঙুলগুলো ফেলে দিতে হবে।
“অন্য দুই নারীর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
চিকিৎসাধীন সুফিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মধ্যপাড়া গ্রামে পৈতৃক সূত্রে প্রাপ্ত ১০ শতক জমি আমার স্বামী ইউসুফ আলী ভোগদখল করে আসছেন। এই জমিতে আমরা বাড়ি ও দোকানঘর তৈরি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছি।
“সোমবার দুপুরে স্থানীয় প্রভাবশালী মো. আব্দুল জব্বার ওই জমি তার দাবি করে তিনি লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়িতে হামলা চালান। বাধা দিতে গেলে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের কুপিয়ে জখম করেন।”
পরে স্থানীয়রা তাদের হাসপাতালে নিয়ে আসে বলে তিনি জানান।
সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
এ বিষয়ে আব্দুল জব্বারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।