সোমবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারক হাকিম মো. ইকবাল মাহমুদ তাকে রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমান আসামিকে আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
নব্য জেএমবির সদস্য সোহেল মাহফুজ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার সাদীপুর (কাবিলা পাড়া) গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে। গুলশানে হলি আর্টিজান হামলা মামলায়ও সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার আসামি তিনি।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, নাচোল ও গোদাগাড়ি থানা, রাজশাহীর তানোর, বগুড়ার শেরপুর, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডু এবং ঢাকার দারুস সালাম, মিরপুর ও গুলশান থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে ১০টি মামলা রয়েছে।
এসব মামলায় তিনি চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দি ছিলেন। সেখান থেকে তাকে কিশোরগঞ্জে আনা হয় বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা আরিফুর।
এ মামলায় সোহেল মাহফুজের সঙ্গে সোমবার আদালতে নিয়মিত হাজিরা দেন গ্রেপ্তার আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বোমা মিজান, জাহিদুল হক তানিম ও আনোয়ার হোসেন।
গত বছরের ৭ জুলাই ঈদুল ফিতরের দিন সকালে শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতের আড়াইশ মিটারের মধ্যে এক পুলিশ চেকপোস্টে হামলা হলে কনস্টেবল জহুরুল হক ও আনছারুল নিহত হন। এরপর পুলিশের সঙ্গে হামলাকারীদের গোলাগুলিতে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় পাকুন্দিয়া থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সামছুদ্দিন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন।