রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপের সুপারিশের ভিত্তিতে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাবে বলে জানিয়েছেন স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2017, 01:50 PM
Updated : 9 Nov 2017, 01:53 PM

বৃহস্পতিবার শেরপুরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমরা ১২ সদস্য নিয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। আমাদের সঙ্গে ১০ দফা একটি চুক্তি হয়েছে।

“সেই চুক্তি অনুয়ায়ী আমাদের একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত হবে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। সেই জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ সমস্ত সিদ্ধান্ত নেবে।”

রোহিঙ্গার সঙ্কটের মধ্যে গত ২৩ অক্টোবর মিয়ানমার সফরে যান আসাদুজ্জামান কামাল। নে পি দোতে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের সমসংখ্যক সদস্য নিয়ে গঠিত হবে এবং তারা সিদ্ধান্ত নেবে কীভাবে মিয়ানমারের নাগরিকরা তাদের দেশে ফিরে যাবে। 

“সেখানকার অবস্থার কীভাবে উন্নয়ন হবে সেগুলোর সবকিছু নিয়েই এই ওয়ার্কিং গ্রুপ কাজ করবে। ওয়ার্কিং গ্রুপের সুপারিশ অনুযায়ীই এরা ফেরত যাবে।”

দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নালিতাবাড়ীতে আড়াইআনী পুলিশ ফাঁড়ির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, নালিতাবাড়ী থানার নবনির্মিত ভবন ও ফায়ার সার্ভিস স্টেশন উদ্বোধন করেন।

এরপর  বিকালে নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ চত্বরের মুক্ত মঞ্চে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তিনি।

এ সময় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শেরপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ফজলুল হক, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ্ উদ্দিন, ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, জেলা প্রশাসক মল্লিক আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গণিসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

দুই মাস আগে রাখাইনের ৩০টি পুলিশ পোস্ট ও একটি সেনা ক্যাম্পে সমন্বিত হামলার পর ২৫ অগাস্ট থেকে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত ওই অঞ্চলে নতুন করে সেনা অভিযান শুরু হয়; সেই সঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তে শুরু হয় রোহিঙ্গাদের ঢল।

আট সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও রোহিঙ্গাদের আসা এখনও বন্ধ হয়নি। ইতিমধ্যে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছে। বিভিন্ন সময়ে দমন-পীড়নের  মুখে পালিয়ে আসা আরও চার লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে গত কয়েক দশক ধরে।