ঠাকুরগাঁওয়ে শিশু হত্যায় দুই নারীর যাবজ্জীবন

ঠাকুরগাঁওয়ে তিন বছর আগে এক শিশু হত্যায় দুই নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Nov 2017, 08:52 AM
Updated : 9 Nov 2017, 11:39 AM

বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. হায়দার আলী এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হামিদ জানিয়েছেন।

দণ্ডিতরা হলেন- পীরগঞ্জ উপজেলার চাঁদগাঁও গ্রামের তারাবুদ্দীনের স্ত্রী মাজেদা খাতুন (৪৫) ও একই গ্রামের মাদেজার সৎ ভাই ভুবন আলীর স্ত্রী তহমিনা (৪২)। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে ছিলেন। 

যাবজ্জীবন ছাড়াও আসামিদের ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড; অনাদায়ে আরও তিনমাসের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

মামলার বিবরণে বলা হয়, কয়েক শতাংশ জমি নিয়ে প্রতিবেশী মহসিন আলীর সঙ্গে মাজেদা খাতুনের বিরোধ দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছিল।

এর জেরে মহসিনকে ‘ফাঁসানোর জন্য’ ২০১৪ সালের ১৭ এপ্রিল দুপুরে আরেক প্রতিবেশী আব্দুল কুদ্দুসের পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে নাদিরা বেগমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান মাজেদা ও তার সৎ ভাইয়ের স্ত্রী তাহমিনা।

এরপর তারা মেয়েটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ির পাশের একটি ভুট্টা ক্ষেতে ফেলে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তা উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় মহসিন জড়িত বলে আসামিরা এলাকায় গুজব ছড়াতে শুরু করলে ওই দিনই নাদিরার বাবা বাদী হয়ে মহসিনকে আসামি করে পীরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

পরদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পীরগঞ্জ থানার এসআই মো.ওয়াহেদ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মামলার সাক্ষী মাজেদাকে হেফাজতে নেন। পরে মাজেদা ও তহমিনা হত্যার কথা স্বীকার করেন।

এরপর মাজেদা ঠাকুরগাঁও ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি দেন বলে পিপি আব্দুল হামিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

তদন্ত শেষে ওই বছরের ১২ জুন এসআই ওয়াহেদ মাজেদা ও তাহমিনার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে বিচারক মহসিনকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

বিচার নিস্পত্তির জন্য গত ২০১৪ সালের ২২ জুলাই ঠাকুরগাঁও দায়রা আদালতে মামলাটি পাঠানো হয়। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ওই আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচারকাজ শুরু করে।