মেহেরপুরে ‘যুবলীগের’ হামলায় বিএনপির কর্মসূচি পণ্ড

মেহেরপুরের গাংনীতে বিএনপির ৭ নভেম্বরের অনুষ্ঠান হামলায় পণ্ড হয়ে গেছে, যার জন্য যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দায়ী করছে বিএনপি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।

মেহেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Nov 2017, 11:02 AM
Updated : 7 Nov 2017, 11:02 AM

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে আলোচনা সভা চলাকালে যুবলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে।

এ সময় তারা অফিসের সামনে থাকা বিএনপি কর্মীদের চারটি মোটরসাইকেলসহ অফিস ভাংচুর করে।

যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ সেখানে তার পিস্তল থেকে দুই রাউন্ড গুলি ছোড়েন বলেও অভিযোগ বিএনপি নেতাদের।

উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন বলেন, সকাল ১০টার দিকে বিএনপি কার্যালয়ে আলোচনা সভা চলাকালে যুবলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়েন। এ সময় তারা অফিসের সামনে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের চারটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করেন।

“ভাংচুরের সময় মোশারফ তার হাতে থাকা পিস্তল থেকে দুই রাউন্ড গুলি করেন।”

এ সময় ইটের আঘাতে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা, বামুন্দী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা বিল্লাল হোসেনসহ চারজন আহত হয়েছে বলে জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী দোকানদার আবু সালেহ উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “এ ঘটনার পর বিএনপি কর্মীরা অফিস ছেড়ে চলে যান। তখন যুবলীগ ও ছাত্রলীগকর্মীরা পুনরায় একত্রিত হয়ে বিএনপি অফিসে দ্বিতীয় দফা হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”

যুবলীগ নেতা মোশারফ তার অস্ত্র থেকে কোনো গুলি হয়নি দাবি করে বলেন, “শুনেছি দুই রাউন্ড গুলি হয়েছে। বিএনপির ছেলেপেলেরাই গোলাগুলি করেছে। যুবলীগ-ছাত্রলীগের ছেলেপেলেরা অস্ত্র পাবে কোথায়?”

গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, “পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। হামলাকালে গুলির বিষয়টি এবং যু্বলীগ হামলা করেছে বলে লোকমুখে শুনেছি।”

এ বিষয়ে মেহেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিএনপির অভিযোগে উপজেলা যুবলীগের সভাপতিকে থানায় ডেকে পুলিশ তার কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি ও কার্তুজের হিসাব নেবে।