গোপালগঞ্জে স্ত্রী হত্যায় পুলিশের প্রাণদণ্ড

গোপালগঞ্জে এক যুগ আগে স্ত্রী হত্যার দায়ে বরখাস্ত এক পুলিশ সদস্যের ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Nov 2017, 12:43 PM
Updated : 6 Nov 2017, 12:46 PM

সোমবার গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো.দলিল উদ্দিন এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডিত মশিউর রহমানের (৩৬) বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর মানিকদহ গ্রামে। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন তিনি। 

মশিউর গাজীপুর পুলিশ লাইনে পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। স্ত্রী হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত হওয়ার পর তাকে চাকরি থেকে তাকে সমায়িক বরখাস্ত করা হয়।

প্রাণদণ্ডের পাশাপাশি বিচারক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডও দেন।

একই সঙ্গে এ মামলার অপর পাঁচ আসামি মশিউরের বাবা মফিজুর রহমান ওরফে পাপা, মা সেলিনা বেগম ওরফে শেলি, বোন মাফুজা বেগম, ভগ্নিপতি ইব্রহিম মোল্লা ও ভাবি শাম্মী ইয়াসমিন ওরফে সোমাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০০৪ সালের ২২ নভেম্বর গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ছাগলছিড়া গ্রামের নেছার উদ্দিন মোল্লার মেয়ে সাদিয়া জাহান ওরফে তুলি বেগমের সঙ্গে মশিউরের বিয়ে হয়।  

বিয়ের পর থেকে মশিউরসহ তার বাড়ির লোকজন তুলির কাছে দেড় লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল। বার বার টাকা চাওয়ায় তুলি তাদের ৫০ হাজার টাকা এনেও দেন।

পরে আরও এক লাখ টাকার দাবিতে তুলিকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্নভাবে নির্যাতন শুরু করে।

নির্যাতন সইতে না পেরে ২০০৫ সালের নভেম্বরের প্রথম দিকে তুলি বাবার বাড়ি চলে যান। পরে মশিউর ও তার বাড়ির আবার তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।

এরপর ওই বছরের ২৭ নভেম্বর আবার এক লাখ টাকা দিতে তুলিকে চাপ দেওয়া হলে তা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এর জেরে স্বামী ও তার বাড়ির লোকজন তুলিকে হত্যা করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।

পরদিন তুলির বাবা নেছার উদ্দিন মোল্লা বাদী হয়ে মশিউরসহ তার বাবা, মা, বোন ও ভগ্নিপতিতে আসামি করে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

তদন্ত শেষে গোপালগঞ্জ সদর থানার এসআই মো. হুমায়ূন কবির ২০০৭ সালের ১৬ এপ্রিল মশিউরের ভাবিকে এ মামলায় যুক্ত করে মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বিচার কাজ শুরু হয়।