ছিনতাইয়ের প্রতিবাদে সোমবার বেলা ১১টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থীরা সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়ক অবরোধ করার সময় এ ঘটনা ঘটে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জহির উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার দাবিতে সড়ক অবরোধ করে।
“আমরা উপস্থিত হয়ে তাদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পরিবহন শ্রমিকরা এসে শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারাই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটিয়েছে।”
এ সময় কিছু শিক্ষার্থীকে পাল্টা হামলা চালাতে দেখা যায়।
স্থানীয় অটোরিকশা চালক সেলিম মিয়া বলেন, “শিক্ষীর্থীদের সঙ্গে আমাদের কোনো ঝামেলা নেই। তারাই আমাদের গাড়ি ভাংচুর করেছে। এ সময় কিছু পরিবহন শ্রমিক সংঘর্ষে জড়ায়।”
তবে অল্প সময়ের মধ্যেই পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
জালালাবাদ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম বলেন, “পরিস্থতি তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। গাড়ি চলাচলও স্বাভাবিক হয়েছে।”
শিক্ষার্থীদের দেওয়া তথ্যমতে, গত এক মাসে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে অটোরিকশায় উঠে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন।
ওসি শফিকুল ১৭ শিক্ষার্থী জিডি করেছেন বলে জানিয়েছেন।
সর্বশেষ রোববার রাতে লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সাবিনা সুমাইয়া পুষ্পাসহ দুই শিক্ষার্থী ছিনতাইয়ের শিকার হন।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট অভিযোগ দেওওয়ার পরও ছিনতাইকারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
সড়ক অবরোধে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী পারভেজ আহমেদ বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।”
এ বিষয়ে ওসি শফিকুল পুলিশের ব্যর্থতার কথা স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “এত দিন আমরা ব্যর্থ ছিলাম। এখন আমাদের সুযোগ দেন। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আজ থেকেই ব্যবস্থা নেব।”
সংঘর্ষে বেশ কজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রক্টর জহির।
তিনি বলেন, “শাহপরান হলের সহকারী প্রভোস্ট আশিস কুমার বণিকসহ আমার কয়েকজন সহকর্মী ও শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আইনের মাধ্যমে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।