রোববার বিকালে চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ সালেহ উদ্দিন আহমদ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত এনায়েতুল ইসলাম সোহাগ (৩২) বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার নাছনা গ্রামের মৃত আলী আজম খানের ছেলে। একইসঙ্গে তাকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
এছাড়া অন্য একটি ধারায় তাকে ১০ বছর কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা এবং আরেকটি ধারায় তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও এক হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
মামলার বরাত দিয়ে পিপি আমান উল্যাহ জানান, ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল রাতে কাবিননামা নিয়ে এনায়েত ও তার স্ত্রী শারমিনের মধ্যে বিবাদ হয়। এ সময় ঘরে থাকা ধারালো ছুরি নিয়ে শারমিনকে আঘাত করেন এনায়েত।
“এ সময় শারমিনের মা খোদেজা বেগম মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা এবং খোদেজার নাতি সোহাগকে কুপিয়ে জখম করেন এনায়েত।”
তাদের চিৎকারে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে এনায়েতকে আটক করে পুলিশে দেয়।
পরদিন নিহতের ছেলে জসিম মোল্লা বাদী হয়ে এনায়েতের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কচুয়া থানার তৎকালীন এসআই মো. নুরুল আমিন ওই বছর ৩০ জুন আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
পিপি বলেন, কচুয়া উপজেলার পাড়াগাঁও গ্রামের জয়নাব আবেদীনের মেয়ে শারমিনের সঙ্গে ঘটনার ১৮ মাস আগে চট্টগ্রামের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতে গিয়ে পরিচয় এবং বিয়ে হয় এনায়েতের। কিন্তু তাদের বিয়ের কাবিননামা না হওয়ায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার সূত্রপাত।