রোববার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির পাশের একটি টিনশেড ভবনের পাশের ফাঁকা জায়গা থেকে পলিথিনে মোড়ানো লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান রূপগঞ্জ থানার এসআই আমিনুর রহমান।
প্রিয়াংকা (১৪) রূপগঞ্জের বরাব এলাকার মহিউদ্দিনের মেয়ে। বরাব আয়েত আলী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল সে।
গত বুধবার শুরু হওয়া জেএসসি পরীক্ষায় রোববার তৃতীয় দিন।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাসুম নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। ওই যুবকের সঙ্গে মেয়েটির সম্পর্ক থাকার কথা জানা গেছে বলে জানান এসআই আমিনুর।
তিনি বলেন, নিহতের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
প্রিয়াংকার মা নাসিমা আক্তার বলেন, শনিবার বিকালে স্কুলের পাশের মিনহাজ স্যারের কাছে কোচিংয়ে পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয় সে। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
“সকালে বাড়ির পূর্ব দিকের দেয়ালের সংলগ্ন এলাকায় পুরনো বাঁশ এলোমেলো ভাবে পড়ে থাকতে দেখে এগিয়ে গিয়ে পা দেখতে পাই। পরে চিৎকার করলে বাড়ির অন্য লোকজন এসে প্রিয়াংকার লাশ দেখতে পায়।”
এলাকার মাসুম নামের এক ছেলে তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। এই ঘটনায় স্থানীয়ভাবে এলাকায় বিচার সালিশও হয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রিয়াংকার ভাই নাঈম ইসলাম বলেন, মাসুম আগে পোশাক কারখানায় তার সহকর্মী ছিল।ওই সুবাদে তার মোবাইল ফোনে কল করেও প্রিয়াংকাকে বিরক্ত করত।
রূপগঞ্জ থানার ওসি ঈসমাইল হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।