জামালপুরে বোমা ফাটিয়ে মাছ ও গরু লুট, আহত ৫

জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় এক মালয়েশিয়া প্রবাসীর মৎস্য খামারে বোমা ফাটিয়ে মাছ ও গরু লুট করে নিয়ে গেছে।

জামালপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Nov 2017, 11:13 AM
Updated : 4 Nov 2017, 11:13 AM

শনিবার ভোরর দিকে উপজেলার খায়েরপাড়ায় একটি খামারে এ ঘটনার সময় অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছে।

খামার মালিক সৈয়দ হামদুজ্জামান বাবলু জানান, ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের খায়েরপাড়ায় সাড়ে ১৩ একর জমির উপর তার মৎস্য ও গবাদি পশুর খামার রয়েছে। সম্প্রতি ফুলকোচা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মনজুরুল ইসলাম তার কাছে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।

“চাঁদা না দিলে খামারের মাছ ধরে নেওয়া এবং গবাদি পশু লুট করার হুমকি দেন। এর জেরে শনিবার ভোরের দিকে তার নেতৃত্বে স্থানীয় পাঠানপাড়া এলাকার দেড়/দুই শতাধিক সশস্ত্র লোক খামারে প্রবেশ করে পুকুরের প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার মাছ ও ২০ লাখ টাকা মূল্যের চারটি গরু এবং বসতবাড়ির মালামাল লুট ও ভাংচুর করে।”

এ সময় তাদের দা, লাঠি ও ফালার আঘাতে খামারের কর্মচারী ইদ্রিস আলী (৬৫), লালন (৪৫), নুর ইসলাম (৫০), রেহান (৪০) ও আব্দুর রশীদ (৫০) আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে ইদ্রিস আলী ও লালনকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বাবলুর অভিযোগ, ঘটনার সময় মোবাইল ফোনে মেলান্দহ থানার ওসির কাছে সহযোগিতা চাওয়া হলে তিনি রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নেননি।

বর্তমানে মালয়েশিয়া অবস্থান করছেন বাবলু। মোবাইল ফোনে তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সঙ্গে কথা বলেন।

ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আলতাফ হোসেন বলেন, গভীর রাতে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা খামারে প্রবেশ করে। খামারে ঢুকে তারা ফাঁকা গুলি ও কয়েকটি বোমা ফাটায়।

“পুরো এলাকা আতঙ্ক সৃষ্টি করে মাছ ধরে ট্রাক ভরে নিয়ে যায়। এসময় খামারের কর্মচারীদের মারধর করে এবং খামার মালিকের বসতবাড়িতেও হামলা লুটপাট করে।”

খামার থেকে প্রায় ২৫/৩০ লাখ টাকা মূল্যের চারটি ষাঁড় নিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে মনজুরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বাবলুর কাছে চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করে বলেন, তার খামারে মাছ ও গরু লুটের সঙ্গে তার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

মেলান্দহ থানার ওসি মাজহারুল করিম বলেন, তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।