১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়টি বরাবরই বিভিন্ন পরীক্ষায় ভালো ফল করে আসছে। শিক্ষক স্বল্পতার কারণে সকল বিষয়ে যথাযথ পাঠদান সম্ভব হয় না। কোনো কোনো বিষয়ের শিক্ষক অনুপস্থিত দীর্ঘদিন ধরে।
স্বলপ সংখ্যক শিক্ষককে শত শত শিক্ষার্থীর পাঠদান চালিয়ে যেতে হিমসিম খেতে হয়।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে এক বিষয়ের শিক্ষক অন্য বিষয়ে পাঠদান করেন। এতে শিক্ষার্থীদের ক্ষতির আশংকা করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।
বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা জানান, এ বিদ্যালয়ে প্রভাতি ও দিবা শাখা চালু রয়েছে। এখানে ৫২ জন শিক্ষকের পদ রয়েছে; কিন্তু সহকারী শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ২৯ জন।
ভৌত বিজ্ঞান বিষয়ে চারটি পদের বিপরীতে একজন শিক্ষকও নেই। জীববিজ্ঞানে চারটি পদের বিপরীতে আছেন দুই জন, বাংলার আটজনের মধ্যে আছেন দুই জন, ধর্মীয় শিক্ষায় চার জনের মধ্যে আছেন এক জন ইংরেজিতে আট জনের মধ্যে আছেন ছয় জন এবং সামাজিক বিজ্ঞানে চার জনের মধ্যে আছেন দুই জন শিক্ষক।
এছাড়া একজন প্রধান শিক্ষক ও দুই জন সহকারী প্রধান শিক্ষক প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। সহকারী প্রধান শিক্ষকের একজন ডেপুটেশনে ঢাকায় রয়েছেন। অপর সহকারী প্রধান শিক্ষক এক বছরের চিকিৎসা ছুটিতে আছেন।
বিদ্যালয়ের প্রভাতি শাখায় ৬২০ জন ও দিবা শাখায় ৫০২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
এছাড়া এক বিষয়ের শিক্ষক অন্য বিষয়ে পাঠদান করছেন বলেও জানান তারা।
৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শারফুন আফনান নিসর্গের বাবা তাজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত বীণাপাণী সরকারি সরকরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি জেলার মধ্যে সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ও সমৃদ্ধশালী নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে এসএসসি ও জেএসসিতে ধারাবাহিকভাবে ভালো ফল হয়ে আসছে।
“শিক্ষকমণ্ডলী অন্যন্ত যোগ্য ও মেধাবী; কিন্তু শিক্ষক সংকটে বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। এতে শিক্ষার মান নেমে যাওয়ার আশংকা করছি।”
জেলার ঐতিহ্যবাহী এই বিদ্যালয়ে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে সংকট নিরসনের দাবি জানান তিনি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুবল চন্দ্র মন্ডল শিক্ষক সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, “তারপরও আমরা এ শিক্ষক দিয়েই পাঠদান করে যাচ্ছি। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে এ ব্যাপারে নিয়মিত তথ্য পাঠানো হচ্ছে। আশা করছি অচিরেই এ সমস্যার সমাধান হবে।”