আজিজা হত্যার আসামির বাড়িঘরে লুটপাটের অভিযোগ

নরসিংদীতে আগুনে স্কুলছাত্রী আজিজার মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলার বাদীপক্ষের বিরুদ্ধে এক আসামির বাড়িঘর ভাংচুরসহ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।

নরসিংদী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Nov 2017, 08:04 AM
Updated : 3 Nov 2017, 08:05 AM

আসামি বিউটি বেগমের (২৬) বাবা বাচ্চু মিয়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নরসিংদী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।

জেলার শিবপুর উপজেলার খৈনকুট গ্রামের মুরগির খামারের শ্রমিক আবদুস সাত্তারের মেয়ে আজিজা (১৩) শুক্রবার রাতে অগ্নিদগ্ধ হয়। ভোরের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

এ ঘটনায় আবদুস সাত্তার বাদী হয়ে আজিজার চাচি বিউটিসহ চারজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ বিউটিসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বিউটির বাবা বাচ্চু মিয়া সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, “বিউটির স্বামী বিদেশ প্রবাসী আব্দুস সালামের ভিটেবাড়ি ও জায়গাজমি দখল করার উদ্দেশ্যে আজিজাকে হত্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে।

“পুলিশ বিউটিকে গ্রেপ্তার করার পর তার বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট, নগদ টাকা, চারটি গাভি ও পাঁচটি ছাগল লুট করা হয়েছে।”

শিবপুর মডেল থানার ওসি সৈয়দউজ্জামান এ বিষয়ে বলেন, এমন কোনো অভিযোগ তারা পাননি।

“তবে মামলার বাদী সাত্তারের বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতি ও হত্যাসহ আটটি মামলা রয়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনে বিউটির ভাই আমজাদ হোসেন, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মিজানুর রহমান খান ও বিউটির নিকটাত্মীয় শাহরিয়ার সিদ্দিকী শওকত উপস্থিত ছিলেন।

তারা জেলার পুলিশ সুপার আমেনা বেগমের বক্তব্য তুলে ধরে দাবি করেন, আজিজা আত্মহত্যা করতে পারেন।

পুলিশ সুপার বুধবার সাংবাদিকদের বলেছেন, রোমান হোসেন (২০) নামে এক তরুণ প্রেমের ফাঁদে ফেলে আজিজাকে নরসিংদী শহরে ডেকে নিয়েছিলেন। সেখানে রোমান, তার বন্ধু সুজন মিয়া (২১) ও রেজাউল করিম আজিজার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা, সোনার গয়না ও মোবাইল ফোনসেট আত্মসাৎ করেন বলে আটকের পর তারা স্বীকার করেছেন।

এই তিনজন আজিজাকে নরসিংদী শহরের একটি ঘরে রাত পর্যন্ত আটকে রেখে ছেড়ে দেন জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, একটি অটোরিকশায় করে শহর থেকে কুটির বাজার যান আজিজা। ওই বাজারের মিজানুর রহমানের দোকান থেকে আজিজা এক লিটার কেরোসিন কেনেন বলে তদন্তে জানা গেছে।

“কেরোসিন কেনার পর আজিজার পরিচিত স্থানীয় দেলোয়ার নামের এক ব্যক্তি টর্চলাইট দিয়ে আজিজাকে বাড়ির কাছাকাছি এগিয়ে দেন বলেও তদন্তে উঠে এসেছে। এর কিছুক্ষণ পর বাড়ির কাছে রবি ফরাজির বাগানে স্থানীয়রা আজিজার চিৎকার শুনতে পান। প্রতিবেশী রফিকুল, রবি, জুয়েল ও তার বাবাসহ কয়েকজন গিয়ে তাকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।”

তবে পুলিশ সুপার একে আত্মহত্যা বলে দাবি করেননি।