পুলিশ কর্মকর্তার নিখোঁজ গৃহকর্মীর সন্ধান চায় তার পরিবার

ঢাকার এক পুলিশ কর্মকর্তার বাসার গৃহকর্মী নিখোঁজ দাবি করে তার সন্ধান চেয়েছেন স্বজনেরা।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Nov 2017, 11:07 AM
Updated : 2 Nov 2017, 11:07 AM

ওই কিশোরীর (১২) বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায়।

তার অবিভাবকেরা বলছেন, ঢাকার ইসলামপুর থানার উপ-পরিদর্শক সাবিনা ইয়াসমিনের বাসায় গৃহকর্মী ছিলেন মেয়েটি। গত ২৯ মার্চ থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।

মেয়েটির মা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,“প্রতিবেশী আফরোজা আক্তারের মাধ্যমে মেয়েকে কাজের জন্য ঢাকা পাঠিয়েছিলাম। প্রতিমাসে তিন হাজার টাকার বিনিময়ে সে আমার মেয়েকে ঢাকার পুলিশ কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াসমিনের বাসায় কাজ দেয়। কিন্তু ঢাকা যাওয়ার কিছুদিন পর থেকেই মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ হয়ে যায়।”

সাত মাস পেরিয়ে গেলেও তার খোঁজ পাছেন না বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, “মেয়ের খোঁজে আমি ও আমার স্বামী ঢাকায় সাবিনার বাসায় গেলে তিনি আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। আমাদের তার ঘরেও ঢুকতে দেননি; উল্টো আমার মেয়ে তাদের বাসা থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়ে গেছে বলছেন।

“ওরা আমার মেয়েকে বিদেশে পাচার কিংবা বিক্রি করে দিয়েছে বলে ধারণা করছি।”

মেয়ের সন্ধান চেয়ে গত ২৬ অক্টোবর তারা সংবাদ সম্মেলন করেন বলেও জানান তিনি। 

যার মাধ্যমে তানজিলাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছিল সেই আফরোজা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি মেয়েটিক েঅনেকদিন ঢাকায় খুঁজেছেন। পরে তার সন্ধান চেয়ে ঢাকার দেওয়ালে দেওয়ালে পোস্টারও লাগানো হয়েছে।

“আরও অনেককে কাজে দিয়েছি,কারো সমস্যা হয় নাই। শুধু এ মেয়েটিকেই পাওয়া যাচ্ছে না।”

এ বিষয়ে এসআই সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “মেয়েটি বয়সে ছোট বলে তাকে রাখতে চাইনি, জোর করে আফরোজা তাকে আমার বাসায় রেখে যায়। কয়েকদিন পর আমি অফিস থেকে ফিরে তাকে আর বাড়িতে পাইনি। সে আমার টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়েছে।”

এ ঘটনায় ৩০ মার্চ ইসলামপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। মেয়েটির বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার দৃশ্য সিসি টিভি ক্যামেরায় রয়েছে বলেও দাবি সাবিনার।  

এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বাবা গৌরীপুর থানার একটি অভিযোগ করেছেন বলে ওসি দেলোয়ার আহম্মদ জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, মেয়েটি ঢাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ায় আমাদের তেমন কিছু করার নেই। তারপরেও বিষয়টি তদন্ত করার জন্য এসআই শাহ জালালকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।