এদিকে, আজিজাকে পুড়িয়ে হত্যার মামলার আসামি তমুজা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিবপুর থানার এসআই মো. রফিকুল ইসলাম সোমবার তাকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আবেদন করেন।
“শুনানি শেষে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শাহিন আক্তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।”
গত শুক্রবার রাতে নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার খৈনকুট গ্রামের আবদুছ ছাত্তারের মেয়ে আজিজা (১৩) অগ্নিদগ্ধ হন। শনিবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় আজিজার বাবা আবদুছ ছাত্তার শনিবার রাতে তিন জনের নাম উল্রেখসহ সাত জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
রোববার রাতে নিজ বাড়ি থেকে আসামি তমুজাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তমুজা বিউটি বেগমের ফুফু শাশুড়ি।
শিবপুর থানার ওসি সৈয়দুজ্জামান বলেন, আজিজাকে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে গায়ে আগুন দিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হলেও তদন্তে পাওয়া গেছে অন্য কিছু।
“পুলিশের তদন্তে জানা যায় মোবাইল চুরি নয় চাচি বিউটি বেগমের পরকীয়া সম্পর্ক ও অনৈতিক কার্যকলাপ দেখে ফেলার জের হিসেবে আজিজাকে হত্যা করা হয়েছে।”
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তমুজা বেগম একথা স্বীকার করেন বলে জানান ওসি।
তমুজা এ ঘটনার জন্য বিউটি বেগম ও তার আত্বীয়স্বজনদের দায়ী করেন বলেও ওসি জানান।
ঘটনার পর থেকে বিউটি বেগম পলাতক রয়েছেন।
জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (শিবপুর সার্কেল) রেজোয়ান আহমেদ বলেন, মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে। এরই মধ্যে তমুজা নামে এক নারী আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে।