গত বছর ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ২০ ডিসেম্বর ভর্তির জন্য ডাকা হয়।
সে সময় গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. সাজেদুল করিম বলেছিলেন, “মোহাম্মদ হোসেন রাব্বি নামে ভর্তি হতে আসা এক শিক্ষার্থীর প্রবেশপত্রের ছবির সঙ্গে চেহারার মিল নেই বলে মনে হয়েছে। রাব্বি ‘এ’ ইউনিটে প্রথম হয়েছে। তার ভর্তিপরীক্ষা অন্য কেউ দিয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।”
রংপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ২০১৬ সালে এইচএসসি পাস করা রাব্বিকে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক আখতারুল ইসলামকে প্রধান করে সাত সদস্যের তদন্ত দল গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আখতারুল বলেন, “তদন্ত কমিটির কাছে তার চেহারা ও ছবির মধ্যে তেমন কোনো অমিল ধরা পড়েনি। তাছাড়া তার উচ্চমাধ্যমিকের হাতের লেখা ও ভর্তিপরীক্ষার হাতের লেখায় মিল খুজেঁ পাওয়া গেছে।”
বিশেষজ্ঞ মতামতের অভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, “নির্ভুল তদন্তের জন্য আমরা পাসপোর্ট ইমিগ্রেশন এক্সপার্টের কাছে গিয়েছিলাম। তারা অফিশিয়ালি মতামত দিতে পারেননি।”
বিশেষজ্ঞ মতামত পাওয়া গেলে প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে রাব্বি ভর্তি হলেও কোনো ক্লাস-পরীক্ষায় অংশ নেননি বলেও তিনি জানান।
রাব্বি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ বছর ঢাকার দিকে কোথাও ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করছি।”